বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে এবার ভারতের প꧙্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির ব্যাপারে একটা সম্মত সিদ্ধান্ত হবে। বিষয়টি আর আশ্বাসের পর্যায়ে থাকবে না।”
শনিব😼ার (২২ জুন) ওয়ার্কার্স পার্টির 🤪গাজীপুর জেলা কমিটির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, “প্রায় দেড় দশক ধরে তিস্তা 🍸চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি অধরাই রয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গজালডোবার প্রকল্প এলাকায় আরও কয়েকটি খাল খনন করে পানি প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় যতদিন যাবে, ততই এই চুক্তি সম্পাদন কার্যত অবাস্তব হয়ে দাঁড়াবে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজি হচ্ছে না বলে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা যাচ্ছে না— বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কোনো নেতার এ ধরনের সাফাই বাংলাদেশের অবস্থানকেই দুর্বল করে। ভারতীয় নাগরিকত্ব🎉 সংশোধন আইন যদি রাজ্য সরকারের আপত্তির পরও বাস্তবায়ন হতে পারে, তাহলে তাদের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি করা যাবে না𝓰 কেন?”
প্রধানমন্ত্রী সংসদে তিস্তা ꦬমহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাজেটে তার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয় নাই। এ কারণে তিস্তা পাড়ের মানুষ বিক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে তারা ভূ—রাজনীতির দ্বৈরথের শিকার হতে চলেছে। এ কারণে বাংলাদেশের নিজ উদ্যোগে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দাবি জানান মেনন।
মে🎃নন আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক গঙ্গার পানি চুক্তির মেয়াদও ২০২৬—এ শেষ হতে চলেছে। চুক্তিতে সংকোশ নদী থেকে খাল খনন করে গঙ্গার পানি প্রবাহ বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছিল, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। পক্ষান্তরে ফারাক্কার উত্তরে আরেকটি ব্যারেজ নির্মাণে𓂃র পরিকল্পনার কথা জানা গেছে।”
সভায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্র🧸তিরোধ, খেলাপি ঋণ আদায় ও ব্যাংক লুট ও নৈরাজ্য বন্ধের পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ২৫ জুন কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি নাসরিন সুলতানা খুশীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, গাজীপুর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মামুন হ𒆙োসেন, নাজমুল হাসান, হায়ওদার আলী, সামসুল হক, আনসার আলী প্রমুখ।