কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ༺দেশব্যাপী সহিংসতায় প্রাণহানির পাশাপাশি মিথ্যা মামলা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানি🔯য়েছে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের’ ব্যানারে জাতীয♍় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এসময়♛ কর্মসূচিতে মোট ৩১টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়।
সমাবেশে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু সরকার আন্দোলন দমনের জন্য শক্তি প্রয়োগ ক🐎রে, যার ফলে অসংখ্য লোক মারা যায়। এত বিপুলসংখ্যক মৃত্যুর পরও সরকার দুঃখ প্রকাশ করেনি।”
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এই সংখ্যক মৃত্যু দেখে কেউ চুপ করে থাকতে পারে না। চোখ বন্ধ করলেই ওই লাশগুলো দেখতে পাই। আগের বিচারিক তদন্তে আমরা জজ মিয়ার নাটক দেখেছি। তাই আমরা জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত🗹 চাই।”
পুলিশের গু🦹লিতে গুরু💖তর আহতরা চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতালে থেকে আরেক হাসপাতালে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হাসপাতালগুলো তাদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমরা এ ধরনের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিন্দা জানাই।”
প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সাম্মানিক নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন জানান, তারা নিহতের প্রকৃত সꦑংখ্যা জানতে পারছেন না।
ব্যারিস্টার সারাহ বলেন, “নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানার অধিকার আমাদের আছে। সরকারের ꦍবক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, তারা জীবনের চেয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ে বেশি চিন্তিত। সম্পদ কি জীবনের🅷 চেয়ে বেশি মূল্যবান?“
দেশ এখন স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাজারো মানুষ আহত হয🐷়েছে। এতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হন। এসব হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারকেই নিতে হবে।”