কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, “বাংলাদেশে বাম মানেই ফ্যাসিস্ট। কারণ, তারা কোনো দিন কার্ল মার্কস 🔯পড়ে নাই, কংগ্রেসের ইশতেহার পড়ে নাই। বাংলাদেশে বামপন্থী মানেই ফ্যাসিবাদের আরেকটি রূপ। বাংলাদেশ এখনো ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে মুক্ত হয়নি।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ܫআগস্ট) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘গণ-অভ্যুত্থান ও গঠন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক ধারার বিকাশ প্রসঙ্গ’ শীর্ষক পাঠ পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দর্শকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছা ও সংকল্পের প্রকাশ। রাষ্ট্র বুঝতে হলে জনগ🔜ণের সার্বভৌমত্ব কী, তা বুঝতে হবে। আমরা বাꦓঙালি না মুসলমান— এই প্রশ্নের জবাবই তো গত ৫০ বছরে খুঁজে পাইনি।”
প্রধান পাঠ পর্যালোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, ফ্যাসিস্ট সংবিধানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশের যে সংবিধান এখন চালু রয়েছে, তা শেখ হাসিনা প্রণীত ফ্যাসিস্ট সংবিধান। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে কিছু নেই। তাই এই সংবিধান অনুসারে এই সরকার অবৈধ।𝕴 বাংলাদেশ এখনো ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে মুক্ত হয়নি।
তিনি ♎বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে এই সংবিধান অবৈধ হয়েছে অথবা সংবিধান ঠিক থাকলে এই বর্তমান সরকার অবৈধ। দুটি একসঙ্গে বৈধ হতে পারে না। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটলে সংবিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, “সরকারের পতনের✨ পরপরই সংবিধান অবৈধ হয়ে গেছে। নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। সবার আগে রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। কেননা, রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলে সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব না। যদি এই সংবিধান অবৈধ না হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ, ছা🦩ত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান অবৈধ, আমরা অবৈধ। এক জায়গায় দুই নীতি কখনো থাকতে পারে না। তাই এই সরকারের প্রধান কাজ হবে একটা গঠনতন্ত্র সৃষ্টি করে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করা।”