• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে ডিম, দুধ ও গরুর মাংস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে ডিম, দুধ ও গরুর মাংস
রাজধানীর ৩০টি স্থানে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

মো. শাহিন শেখ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ‘রমজানে কম দামে 📖পণ্য বিক্রি করছে সরকার’ গণমাধ্যমে এমন খবর দেখে পণ্য কিনতে রাজধানীর খামারবাড়িতে এসেছেন তিনি। ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিলেন। তবে দুপুর ১২ টায় শীততাপ নিয়ন্ত্রণে ভ্যান পূর্ব নির্ধারিত স্থানে দেখতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তিনি। কিনলেন ১ কেজি গরুর মাংস, ১ লিটার দুধ ও ১ ডজন ডিমﷺ। বাজারের চেয়ে কম দামে ভ্যানে এসব পণ্য কিনতে পেরে সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সংবাদ প্রকাশ প্রত♍িবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মো. শাহিন শেখ বলেন, “রমজানে আমার মতো অনেকেই ভ্যান থেকে পণ্য কিনছে। রাজধানীর ৩০টি স্থানে সুলভ মূল্যে এসব পণ্য পাওয়া যায়। সারা বছর যদি স🐼রকার এমন উদ্যোগ চালু রাখতো তাহলে ভালো হতো।”

শুধু যে খামারবাড়ি শাহিন শেখ একাই এসে🎃ছেন তা নয়। তার মতো আরও অনেকেই এসেছেন বাজারের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ, ডিম, গরুর মাংস, প্রসেস করা বয়লার মুরগি এবং খাসির মাংস কিনতে।

তথ্য বলছে, রমজান মাসে সুলভ মূল্যে গরু, খাসি, মুরগির মাংস, দুধ এবং ডিমের বিপণন ব্যবস্থা চালু করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্🔯রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হচ🐎্ছে।

রমজানের শুরুতে𒐪 প্রতিটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে গরুর মাংস ৭০-৮০ কেজি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে সেটি ২৬০-২৭০ কেজিতে ঠেকেছে।

সরেজমিনে খামারবাড়ি ইস্পাহানি আই হসপিটালের সামনে দেখা যায়, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ছোট একটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে সড়কের পাশে। এ ভ্যানে পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে আছেন দুজন কর্মকর্তা। আর পুরো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বড় একটি ছাতার নিচে বসে পণ্যের স্লিপ কাটছেন প্রধান কর্মকর্তা। যার যে পণ্য🦹 প্রয়োজন লাইন অনুযায়ী অর্থ নিয়ে স্লিপ কেটে দিচ্ছেন তিনি। তবে পণ্য সংগ্রহের লাইন দীর্ঘ না হওয়ায় ভোগান্তি ছাড়াই এসব পণ্য মিলছে। কম দামে ডিম, দুধ, গরুর মাংস পাওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্তরা ছাড়াও ম🐷োটরসাইকেল নিয়ে এসব পণ্য কিনতে দেখা যায় অনেককেই।

টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ মোটরসাইকেল নিয়ে মিরপুর থেকে মাংস কিনতে এসেছেন রাকিব মণ্ডল (ছদ্মনাম)। ৬০০ টাকায় মাংস পাওয়ায় খুশি তিনি। পাশাপাশি ১১০ টাকায় এক ড𒁏জন ডিমও কিনলেন।

সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “বাজারে এক ডজন ডিম ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখা𒆙নে ভ্যান থেকে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়াও ১১০০ টাকার খাসির মাংস এখানে ৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, তাই আসলাম কিনতে। প্রতি কেজি মাংসে যদি ১০০-১৫০ টাকাও সাশ্র꧋য়ী পাওয়া যায় তাহলে নিম্ন-মধ্যবিত্ত কেন উচ্চবিত্তরাও আসবে কিনতে।”

ডিম ও প্রসেসিং ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেশি থাকায় এ পণ্যগুলোর আগেই শেষ হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশকে জানান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানের দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “ডিম এবং পꦫ্রসেসিং ব্রয়লার মুরগিতে সাধারণ মানুষের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া গরুর মাংস তো আছেই। শুরুতে মানুষে꧅র খুব বেশি আগ্রহ দেখা না গেলেও এখন অনেকটাই বেড়েছে। আপাতত বিক্রির কোনো সময় নেই। পণ্য যতক্ষণ পর্যন্ত আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে। পণ্য যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমরা কার্যক্রম বন্ধ রাখি।”

গরু𝄹র মাংসের মান নিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “গরুর মাংসের মান যথেষ্ট ভালো। এখন পর্যন্ত কেউ মাংসের মান খারাপ বলতে পারেনি। সামনের দিকেও খারাপ বলতে পারবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ প্রতিদিনের মাংস আমরা প্রতিদিন কেটে নিয়ে আসি। গরুর মাংস মূলত এগ্রো ফার্ম থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তাদের সাথে মাংস নিয়ে চুক্তিও করা আছে। সেই চুক্তি অনুযা𒆙য়ী আমরা তাদের কাছে থেকে গরুর মাংস সংগ্রহ করে থাকি। তবে গরুর মাংসের চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে।”

Link copied!