দেশের অর্থনীতি মহা📖বিপর্যয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএন🎉পির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধ🦂ানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
🧜বিএনপির মহাসচিব বলেন, “দেশের অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ে রয়েছে। ডলার💜ের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সব ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে, গত ৭ বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।”
এ সময় বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই দাবি করে মꦓির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার গত ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে, তা বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। এই বাজেট কল্পনাবিলাসী, বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেটꦉ।”
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, “বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাওয়া, বেপরোয়া অর্থ পাচার, জনগণের কাঁধে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা একবারে🎃র জন্যও স্বীকার করা হয়নি। পরিত্রাণের উপায়ও বলা হয়নি। তেমনিভাবে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুশাসন ও ন্যায়বিচারের ধারণাকে।”
বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “অর্থমন্ত্রী বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম𒆙্মেলনে বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে🌊 আমরাও শঙ্কিত। সারা বিশ্বে এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি। তবে আমরা খাবার তো বন্ধ করতে পারব না। একটি নমনীয় পথে এগোচ্ছি।’ তার কথাটি সঠিক নয়। বাস্তবতা হচ্ছে চীন, আমেরিকা, ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষভাবে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।”
ফখরুল বলেন, “বাজেটে একদিকে বিনিয়োগ ২৭ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। অপর দিকে ঘাটতি🐎 মেটাতে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নেওয়ারꦓ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ অঙ্কের ঋণ যদি সরকার নিজেই নিয়েই নেয়, তবে বেসরকারি খাত নিঃসন্দেহে ঋণপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। তাহলে বিনিয়োগ আসবে কোত্থেকে? এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ কীভাবে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশে উত্তীর্ণ হবে তার কোনো নির্দেশনা দেননি অর্থমন্ত্রী।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসম🐟াইল জবিউল্লাহ উপস্থি🍌ত ছিলেন।