বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) শেষরাত নাগাদ ঘূর্ণিꦬঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্র💎ী এনামুর রহমান। এটি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি♏ 🍨বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভোর নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় আঘাত হানা☂র সম্ভাবনা রয়েছে।”
জেলাগুলো হলো, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, ꦉ💃বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬৪ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বাতা🍃সের গতিবেগ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
নিম্নচাপটি এখন মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এগিয়ে যাওয়ার গতি বিশ্লেষণ করে আমরা আশওা করছি, এটি ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্🐬যা ৬টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত আনতে পারে।”
এনামুর রহমান বলেন, “গত মাসে ঘূর্ণিঝড়♍ হামুনের সময় উপকূলীয় জেলাসমূহে বরাদ্দ দেওয়া চাল, শুকনা খাবার, গোখাদ্য, শিশু খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেসব বরাদ্দ মজুদ আছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন প্রয়োজনে ব্যবহার ও খরচ করবেন। আরও প্রয়োজন হলে আমাদের জানালে ব্যবস্থা করে দেবো।”
কতসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, জানতে চাইলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেনꦫ, “সঠিক সংখ্যাটা বলা কঠিন। যেহেতু এটি ক্যাটাগরি-১ ঘূর্ণিঝড় তাই ঝুঁকির 𝔍পরিমাণ কম। তাই আমরা একেবারে উপকূলবর্তী যারা বাস করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করব।”
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ম✃ো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, মো. হাসান সারওয়ার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের ঊর্ধ্ব🍎তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।