উপকূলে ইতোমধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছ💞ে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষকে। ১০ নম্বর মহাব🌳িপৎ সংকেত জারি রাখা হয়েছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা ঝড়ো হাওয়া।
এমন বিপজ্জনক অবস্♔থার মধ্যে দুই বছরের শিশুকে সঙ্গে করে ঘূর্ণিঝড় নিজ চোখে দেখতে এসেছেন এক দম্পতি। তাদের ভাষ্য, ‘আবহাওয়ার অবস্থাটা নিজ চোখে দেখার জন্য এসেছি।’
ঘটনাটা রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় উপকূলীয় জেলা ঝা🉐লকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীপাড়ের পৌর মিনিপার্কের। উন্মত্ত ঢেউ আছড়ে পড়ছিল পার্কের ভেতরেই। পার্কটির প্রায় পুরো অংশ তলিয়ে গেছে পান꧙িতে। এমন অবস্থার মধ্যেই শিশুসহ পরিবার নিয়ে এসেছেন অনেকে।
রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই অনেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নিজ চোখে দেখতে ও উপভো𝕴গ করতে এসেছ🦂েন।
দুই বছরের শিশুকে নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রশ্ন এড়িয়ে যান সেই দম্পতি। পরে তারা অন্যদিকে চলে যান। সেই দম্পতির মতো ▨আরও অনেকে এসেছেন রেমালের তাণ্ডব দেখতে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার কোলের শিশুকে নামিয়ে দিয়েছেন পার্কে ওঠা পানিতে। অনেকে আবার প𒉰রিবার নিয়ে হৈচৈ করে দুর্যোগ উপভোগে আন✨ন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
দল বেঁধে বহু তরুণ-তরুণীও এসেছেন আসেন। তাদের অনেকে সেলফি তুলে বৈরী আবহাওয়ায় নিজেকে ফ্রেমবন্দি ꦍকরে রাখছেন। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকেও দেখা গেল লাইভ করতে।
তরুণ-তরুণীদের অনেকে ফেসবুকে লাইভ দিয়েও দূরের আত্মীয় স্বজনকে বৈরী আবহাওয় দেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আব✤হাওয়ার এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে যেন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন তরুণ-তরুণীরা।
তবে সেই আনন্দে মুহূর্তেই ফিকে হয়ে যায় ঝালকাঠী জেলা প্রশাসক ফারহাগুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল আসায়। এসময় অতি উৎসাহী একজন নিজের ফোনে লাইভ করতে করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে🌟ন। এতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ক্ষমা চাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।