২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীꦑ। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট উপস্থাপন শুরু হয়। টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট এটি। দেশের ইতিহাসে এটি সব থেকে বড় আকারের বাজেট।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারের বাজেটেও ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ প্রতিবারের মতো সিগারেট এবং পান-জর্দার ওপর যোগ হচ্ছে বাড়তি করের 🔯বোঝা।
এবার সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। তি🍨ন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সব ধরনের সিগඣারেটের দাম বাড়তে পারে।
এছাড়া প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা෴ মূল্য ৪৮ টাকা ও একই পরিমাণ গুলের মূল্য ২৫ টাকা প্রস্তাব করা হ🌄য়েছে। তাই যাদের পান-জর্দা খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের ব্যয় বাড়বে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা হচ্ছে। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ধরা হচ্ছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উ﷽ন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।
এটি নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। তিনি যে বাজেট বক্তব্য দেবেন, তার শিরোনাম দিয়েছেন সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাং෴লাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার। অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট হলেও টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তম꧅ান সরকারের এটি প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট।
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাত্রা ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পরে যদিও লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরজুড়েই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। এদিকে আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হলেও পরে তা ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ 🍌করা হচ্ছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর 🔯মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে নতুন শুল্ক আইন কার্যকর হব🦋ে। আগামী অর্থবছরে কর দেওয়া সাপেক্ষে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব উঠতে পারে। তবে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই থাকছে।