বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফ🍸রোজা আব্বাসের নামে চার্জশিট অনুমোদনের পর তা আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ২১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এ চাার্জশিট দাখিল কর🐼া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সꦕেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি 🌳তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়🌊ে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানে আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। তিনি ওই পরিমাণ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এ সম্💮পদ তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তার অবৈধ উৎস থেকে অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণও পাওয়া গেছে। অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে রাখার দায় মির্জা আব্বাস এড়াতে পারেন না। এ কারণে তাকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়।
আফরোজা আব্বাস দুদকে মোট ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন। তার ওই🎐 হিসাব যাচাই করে তার নামে ঢাকা ব্যাংকের ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬শ` টাকার শেয়ার, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানির ১০ কোটি টাকার শেয়ার, এফডিআর ও ডিপিএসে বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ১ কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ৪৫ লাখ টাকার ঋণ প্রদান, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
দুদক সূত্র জানায়, ওই পরিমাণ সম্পদ বৈধভাবে কখন কীভাবে অর্জন করেছেন, তারಞ হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে ওই পরিমাণ সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, মির্জা আব্বাস অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র, চারদলীয় জোট সরকারের সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। আফরোজা আব্বাসের আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে হস্তশিল্পী ও পাসপোর্টে একজন গৃহিণী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০ꦿ৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২ এর ১৩ ধারায় মামলাটি করা হয়; য🐷া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।