‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-💙 এ দুই চরণই তাকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি হেলাল হাফিজ, আধুনিক কবি। বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই কবি।
নিঃসঙ্গতার কবি হেলাল হাফিজের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (৭অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পঞ্চম তলায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা নিয়ে লেখা ‘ফুল ও ফুলকি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বইটি লিখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে কবি হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তিඣ করা হয়।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন কবি মিনার মনসুর, অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, ছড়াকার রবীন আহসান, কবি ঠোকন ঠাকুর, কবি কাজল র꧂শীদ শাহীন, ফটোগ্রাফার সুদীপ্ত সালাম, কবি মনির ইউসুফ, কবি শিমুল সালাহউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক শ্যামলী নাসরিন, ইরশাদুল হক টিংকু, কবি ইসমত শিল্পী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কবি ইমরান মাহফুজ।
অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি প্রকাশ 🥂করে কবি হেল𝄹াল হাফিজ বলেন, “এই অনুষ্ঠান অনেক আনন্দের। এই আনন্দে চাই বাকি কাজগুলো করে যেতে। জীবনে যা করেছি, তার চেয়ে দ্বিগুণ পেয়েছি।”
জন্মদিনে নিজের লেখালেখি প্রসঙ্গে কবি হেলাল হাফিজ বলেন, “সত্তর-আশির দশকে দেখেছিলাম, যেদিন মেলা 💙(অমর একুশে গ্রন্থমেলা) শেষ হতো, পরদিন থেকে বইয়ের নামগন্ধ পাওয়া যেত না। কোনো কবিতার কথা শোনা যেত না। এটা আমাকে ভীষণ পীড়িত করেছিল। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, খুব কম লিখব। আমার বইয়ের সংখ্যা হবে খুব কম, কিন্তু এমন কিছু লিখব, যা অনেক মেলা পর্যন্ত দীর্ঘায়ু হবে। এমন বই লিখব, যা মানুষের মন ও মগজে দীর্ঘায়ু হবে।”
বইয়ের মো🅰ড়ক উন্মোচন শেষে লেখক মোহাম্মদ আলী বলেন, “আজকের এই আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার জীবনে। কবিতার জন্য আমার কাজ🍰 শ্রেষ্ঠ কিনা জানি না, তবে বড় কাজের শুরু মাত্র।”
দ্রোহ ও ভালোবাসার কবি হেলাল হাফিজ অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৭৫তম জন্মদিনে 💃ভক্তরা তাঁর সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হতে চাননি। হাসপাতাল থেকে এসে তাই জন্মদিনের কেক কেটে গেলেন গত শতকের সত্তরের দশক থেকে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া কবি হেলাল হাফিজ।