প্রতি বছরের মতো জুন মাসের তৃতীয় রোববার অর্থাত্ ১৯ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস। বাবাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানা💖তে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দিনটি প๊ালন করে।
বাবা-সন্তানের সম্পর্ক ম𝓀ধুর🍸 হয়। তবে অনেকে বাবার চেয়ে মায়ের সঙ্গেই বেশি ঘনিষ্ঠ থাকে। যার কারণ দূরত্ব আর ভয়। বাবা শাসন ও আদরে সন্তানকে আগলে রাখেন। সন্তানের মধ্যে ভয় অনুভূতি থেকে সেই আদর ম্লান হয়ে যায়। শাসনের ভয়েই সন্তান বাবার থেকে দূরে থাকে।
আবার সন্তান বড় হলে বাবাকে স♕ময় না দিলেও দূরত্ব বেড়ে যায়। বাবার প্রয়োজনগুলো এড়িয়ে যাওয়া, ✅বাবাকে সময় না দেওয়া এই দূরত্বের অন্যতম কারণ। বাবা দিবসে সেই দূরত্ব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। বাবা-সন্তান দুজনই নিজেদের সম্পর্ককে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারেন সহজেই।
যে বাবা হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছে, সমাꦬজে চলতে শিখিয়েছে তার প্রতি যত্নশীল হওয়া সব সন্তানেরই দায়িত্ব। মধ্য বয়স হোক কিংবা বৃদ্ধ বয়স, বাবার সবসময়ই যত্নশীল হতে হবে। যেমনটা শৈশব⛦ে বাবা আমাদের আগলে রেখেছেন।
বাবা তার অভিজ্ঞতা, প্রতিপত্তি এবং জ্ঞান দিয়ে সন্তানকে সঠিক দিশা দেখান। বাবাকে🐓ও তাই সময় দিন যখন আপন🍬াকে তার প্রয়োজন। বাবার একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে তাকে নিয়ে ঘুরে আসুন, গল্প করুন। একসঙ্গে সিনেমা দেখুন, বাইরে খেতে যান, খেলাধূলা করুন। দেখবেন বৃদ্ধের বেড়াজালে আটকে যাচ্ছে না আপনার বাবা।
বাবারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ থাকেন। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। নিজের ভাবনাচিন্তা বাবার সঙ্গ𝔍ে শেয়ার করুন। বাবার চিন্তাভাবনার মর্যাদা দিন। বাবারা কখনও সন্তানকে ভুল পথ দেখাবে না। তাই বাবা হচ্ছেন সন্তানের নিরাপদ আশ্র🌜য়। যে আপনার সেরা পরামর্শক হতে পারে।
মায়ের তুলনায় বাবার ভালোবাসার প্রকাশ কম হয়। এই কারণেও সন্তানদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে।💎 যা ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যায়। তাই সন্তানের প্♕রতি নিজের আদর প্রকাশ করুন। সন্তানকে আপনি কতটা ভালোবাসেন তাও জানান। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
বাবা নিজের চাওয়া-পাওয়া পাশ কাটিয়ে সন্তানের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু সন্তানরা এই বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ থাকেন। একটা বয়স পার হলে সন্তানের সঙ্গে নিজের ক🦩ষ্ট এবং প্রাপ্তি ভাগাভাগি করে নিন। এতে সন্তান আপনার কষ্টের মর্যাদা দিবে। সম্পর্কের দূরত্ব কমবে।
বড় হয়ে অফিস বা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় সন্তানরা। সব কাজের ফাঁকেও বাড়ি ফিরে বাবার সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। বাব🐽ারা স্পোর্টস অথবা রাজনীতি নিয়ে বেশ আগ্রহী থাকেন। এমন বিষয়গুলো নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলুন। যখনই সময় পাবেন বাবার সঙ্গে তার পছন্দের বিষয়ে কথা বলুন। বাবা অনেক খুশি হবেন। সময়টাও ভালো কাটবে।
বৃদ্ধ বাবা যদি গাছ পছন্দ করেন তাহলে তাকে একটি বাগান করে দিতে পারেন। গাছের সঙ্গে তার একাকীত্ব অনܫেকটাই কেটে যাবে। মাঝেমাঝে আপনিও বাবার সঙ্গে গাছ পরিচর্যায় নেমে যাবেন। কখনও সময় করে লং ড্রাইভেও বেরিয়ে যেতে পারেন।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাবাদের মধ্যে টিনশন বাড়তে থাকে। বাবাকে টিনশন দিবেন না। এতে তার স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে। কোন বিষয় নিয়ে বাবা ব൩েশি টেনশন করেন তা জেনে নিন। সমাধানের চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন, বাবা যেমন আপনার পাশে থেকে শক্ত হাতে আপনাকে শৈশব থেকে ꦚসামলে নিয়েছেন। তেমনই আপনারও দায়িত্ব সবসময় বাবাকে আগলে রাখা। তবেই তো বাবা-সন্তানের সম্পর্ক মজবুত হবে।