ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর একটা🅘 বড় মাধ্যম ঈদ কার্ড। একটা সময় মানুষ উৎসব অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে বর্ণ🌠িল সব কার্ডের দিকে ঝুঁকতেন। আবেগ আর ভালোবাসার বার্তায় ঈদ কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হতো প্রিয়জনদের। কিন্তু রাত জেগে বন্ধুর জন্য হাতে বানানো সেই রঙিন কার্ড এখন ইতিহাস। প্রযুক্তির দাপটে হারাতে বসেছে সেই ঐতিহ্য।
সময়ের বিবর্তনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে এসেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, টুইটার, ইমেল, ফেসবুক, ই-কার্ড, এসএমএসඣ আর এমএমএসের ভিড়ে তাই আমাদের মাঝ থেকে হারাতে বসেছে ঈদ কার্ডে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সংস্কৃতিটিও। মোবাইলের টুং শব্দটাই এখন মুহূর্তের মধ্যে মোবাইলের স্ক্রিনে ꦕভাসিয়ে তোলে শুভেচ্ছা বার্তা। তবে ই-কার্ডের শুভেচ্ছা বার্তায় ঈদ কার্ডের মতো ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া পাওয়া যায় না।
একসময় সারা দেশের বিভিন্ন শহর, মফস্বল, পাড়া মহল্লা, এমনকি গ্রামের অলিতে গলিতে ছোট ছোট ঈদ কার্ডের দোকান দেখা যেতো। পাওয়া যেত ঈদ কার্ড। বর্ণিল ডিজাইন আর বাহারি রঙের ঈদ কার্ডে♋ আঁকা থাকতো গম্বুজ, মিনারের উপর চাঁদ-তারা, লাল গোলাপ বা কোলাকুলির চিত্র। তার ওপর মোটা অক্ষরে লেখা ‘ঈদ মোবারক’ দ্বিগুণ করে দিত ঈদের আনন্দ। এ কার্ডগুলোতে শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি ফুল, পাখি, প্রাকৃতিক দৃশ্য, মসজিদ, মক্কা শরীফের ছবিসহ বিখ্যাত তারকাদের ছবিও থাকতো। ছোটোদের জন্য নানা মজার মিনি কার্ড ছাপানো হতো। জনপ্রিয় সব কার্টুন চরিত্র থাকতো মিনি কার্ডগুলোতে। কিন্ত সময়ের ব্যবধানে এখন আবেদন হারিয়েছে 𓆉ঈদ কার্ডের।
কয়েকবছর আগেই ঈদ কার্ডে নিজ হাতে গোটা গোটা অক্ষরে শুভেচ্ছাবার্তা এখন ইতিহাস। পরিবারের ছোটরা কার্ড বানাতে ব্যস্ত থাকতো ঈদের আগের দিনগুলোতে। স্কুলের বন্ধ𓆏ুকে বা পরিবারের প্রিয়জনকে ঈদ কার্ড দেওয়া ছিল অনেক বেশিℱ আনন্দের। হাতে কাগজ কেটে রঙিন কলমে সাজানো হতো দারুণ দারুণ সব ঈদ কার্ড। ঈদ আসলেই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ও তরুণ-তরুণীদের ব্যস্ততা ছিল ঈদ কার্ড সংগ্রহের দিকে। সৃজনশীল সেই সৃষ্টিকর্ম সবার মধ্যে একটা আন্তরিক সম্পর্কের জন্ম দিত যেনো।
বর্তমানে ডিজিটাল মা꧋ধ্যমে শুভেচ্ছা আদান-প্রদানের হার বেড়ে যাওয়ায়, হারিয়ে গেছে ঈদ কার্ডের আবেদন। এ স্থানে যুক🥂্ত হয়েছে মোবাইল ফোনে এসএমএস, এমএমএস। এখন কেউ কষ্ট করে মোবাইলেও এসএমএস লেখে না, ভাচুর্য়াল ঈদ কার্ড বা ই-কার্ডের মাধ্যমে ফেসবুক বা ই-মেইলে বন্ধু-বান্ধব, আপনজনকে শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দায় সারছে মানুষ।