অক্টোবর শুরু মানে নোবেলের মৌসুম অর্থাৎ এই মাসের প্রথম সোমবার থেকে ছয় দিনব্যাপী সারা বিশ্বের ছয়জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা শুরু হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও দামি🍷 পুরস্কার ‘নোবেল প্রাইজ’কে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়।
নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে থেকে। তখন পদকটি তৈরি করা হত খাঁটি সোনা দিয়ে। বর্তমানে নোবেল পদকটি মূলত ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এবং এর ওপর একটি পাতলা স্তরে ২৪ ক্যারে💖ট খাঁটি সোনার প্রলেপ থাকে। দিনে দিনে এটি বিশ্বের সেরা একটি পুরস্কারে ভূষিত হয়ে আ𝓡সছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার নরওয়েতে দেওয়া হলেও সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্যান্য পুরস্কার সুইডেন থেকে দেওয়া হয়।
নোবেল পুরস্কারের প্রতি বছর বৈধ মনোনয়ন পেতে ৩১ জানুয়ারির আগে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। হাজার হাজার মানুষ মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। তা দের মধ্𝄹যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আইনপ্রণেতা, পূর্ববর্তী নোবেল বিজয়ী এবং কমিটির সদস্যরাও রয়েছেন। এই আবেদন স্বয়ং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করতে পারেন। আবার অন্য কেউ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে আবেদন করতে পারে।
ফেব্রুয়ারিতে সেই তালিকা থেকে মনোনয়ন বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। আবার নোবেল কমিটির সদস্যরা তাদের প্রথম বৈঠকে নাম যুক্ত করতে পারবেন। এরপর নোবেল কমিটির স্থায🅺়ী উপদেষ্টা, নরওয়েজিয়ান বা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। পরে একেবারে শেষ বৈঠকে কমিটি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। এরপরই নিয়মানুযায়ী অক্টꦉোবরের শুরুতে ওই বছরের বিজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়।
এসব কিছুর মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে অবাক করে তা হলো, নিয়ম অনুযায়ী বিচারকেরা ৫০ বছর ধরে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন না। মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, মনোন꧟য়নকারী এবং পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে তদন্তের তথ্য ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় না। নোবেল ফাউন্ডেশনের সংবিধির ১০ ধারায় বলা আছে, পুরস্কার প্রদানের জন্য প্রাপ্ত প্রস্তাবনা এবং পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে তদন্ত এবং মতামত ৫০ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা যাবে না। তবে আবেদনকারীদের অনেকে নিজেরাই প্রকাশ্যে তাদের নাম ঘোষণা করেন। বিশেষ করে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবেদনকারীরা এ কাজ বেশি করেন।