বর্তমানে কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যা বাড়ছে। কর্মজীবী মায়েদের কাজের ব্যস্তায় ঠিক মতো সন্তানদের সময় দেওয়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু সন্তানদের সময় দেওয়া মা এবং সন্তান দুজনের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই যত ব্যস্ততায় থাকুক না কেন সন্তানদের সময় দিতে হবে। এবং যতটুকু সময় দেবেন সেটা যেন কুয়ালিটি টাইম হয় সেদিকꦦে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কী-
- আপনাকে কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বাইরে কাটাতে হয়। তাই বাইরে থাকাকালীন সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তার কি প্রয়োজন সেগুলো বুঝুন। তাকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে থাকা অবস্থায় আপনার সন্তান যদি আপনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তবে তাকে সময় দিন।
- অফিস থেকে ফিরে স্বাভাবিক ভাবেই ক্লান্ত থাকেন আপনি। তারপরও বাড়ি ফেরার পর তাকে সময় দিন। তার সঙ্গে কথা বলুন। তার কথা শুনুন। আপনার সন্তান যেন তার সব কথা আপনাকে বলতে পারে সেই সুযোগ দিন।
- চেষ্টা করুন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে। এতে কিছুটা বেশি সময় পাবেন সন্তানকে দেওয়ার জন্য। তারপর তাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে হাটতে বের হোন। এতে ব্যায়ামও হবে আবার শিশুকেও যত্ন নেওয়া হবে।
- বাসায় ফেরার পর বাসায়ও অনেক কাজ থাকে মায়েদের। বাসার কাজ করার সময় আপনার সন্তানকে সঙ্গে রাখতে পারেন। এতে তার সঙ্গে ভালো সময় কাটবে।
- শিশুরা মা-বাবাকে দেখে অনেক কিছু শেখে। বাবা-মাকে অনুকরণ এবং অনুসরণ করে তারা। তাই আপনার আচরণে এমন কিছু থাকলে যা তার মধ্যে নেতিবাচক বিষয় জন্মাবে সেগুলো বাদ দিতে হবে। আপনি পরিবারের কার সঙ্গে কেমন আচরণ করছেন সেগুলো খেয়াল করবে এবং সেও তার সঙ্গে সেরকম আচরণ করবে। তাই আপনার আচরণে সংযত করুন।
- নানান কারণে আমরা মানসিক চাপে থাকি, বিরক্ত হই। তাই বাসায় ফেরার পর সন্তানের দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে তাকে বকাঝকা করে অনেকেই। এটা ঠিক না। এতে আপনার সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ হবে। তাই বাসায় ফেরে তার সঙ্গে খেলা করুন। তাকে গল্প পড়ে শুনাতে পারেন।
- যেকোনও শিশুরই অনেকটা সময় কাটে খেলাধুলা করার মধ্য দিয়ে। শিশুর খেলতে পছন্দ করে অনেক। তাই আপনি যখনই সময় পাবেন তার সঙ্গে তার পছন্দের খেলায় অংশ নিন।
- ছুটির দিনে যতই অন্য কাজ থাকুন না কেন আপনার শিশুর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন। তাকে নিয়ে বেড়াতে যান। দিনের প্রায় পুরোটা সময় যেন সে পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। তার পছন্দের জায়গায় ঘুরে আসুন।