স্বর্গে যেতে কতই না সাধনা করা হয়। ঈশ্বরের প্রার্থনায় মশগুল থাকতে হয়। ভালো কাজ করতে হয়। সত্যের পথে চলতে হয়। আরও কতই না চেষ্টা আর সাধনা থাকে স্বর্গে যাওয়ার। তবে পৃথিবীতে বসেই যদি স্বর্গে নিজের একটি জমি কিনে নেওয়া যায় তবে মন্দ হয় না! অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন পৃথিবী, চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে জমির কথা শুনেছেন কি꧙ন্তু স্বর্গেও জমি রয়েছে কীভাবে? তাও আবার সেই জমি বিক্রিও হচ্ছে!
হ্যা, ‘স্বর্গের জমি’ বিক্রি করছেন এক গির্জার ধর্মযাজক। মেক্সিকোর 🦄একটি গির্জায় তিনি ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র প্রচার চালাচ্ছেন বলে জানা যায়।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর জানিয়েছেন জনপ্রিয় এক সংগঠন। এরপরই বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে আসে। ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথার বিষয়টি প্রতারণা বলেই উল্লেখ করছে এই সংগঠনের পেজটি। সংগঠনের স♌দস্যদের দাবি, এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণা প্রকাশ পাচ্ছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হয়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস 🐈গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আর সেই জমি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অ🔜নেকেই। ইতোমধ্যে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করা হয়েছে।
ওই গির্জার ধর্মযাজকের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে ওই ধর্মযাজক ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলেন। ঈশ্বরই তাকে স্বর্গে জমি বিক্রির অনুমোদন দেন। স্বর্গে প্রতি বর্গমিটার জমির দাম পড়বে ১০০ মার্কিন ডলার। আগ্রহীরা আমেরিকান এক্সপ্র🐼েস, অ্যꦺাপল পে–এর মাধ্যমে এই জমির মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
অনেকেই এই খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। আর তাতে অসংখ্য মন্তব্যও জড়ো হয়েছে। কেউ সমালোচনা করছেন। আবার কেউ বিষয়টি নিয়ে মজাও করছেন। তবে কেউ বিষয়টি বিশ্বাস করতে নারাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি লিখেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চাতুর্য্য শয়তানের কাজ।’ আবার অন্য একজন মজা করে লিখেন, ‘আহা, কোনো ধর্মযাজক যদি আমার কাছে স্বর্গের জমি বিক্রি করতে চাইতেন! কোনো ধর্মযাজক আমার কাছে এমন প্রস্তাব নিয়ে এলে আমি আগে তাকে সেখানে পাঠাতাম। সেখান থেকে তাঁকে ফেসটাইমে কল দিতে বলতাম যাতে আমি ভিডিওতে দেখতে পা🌄রি, আমি আসলে কী কিনতে যাচ্ছি।’
প্রতিবেদনের খবরে জানা যায়, স্বর্গে জমি কেনা🅰র জন্য অসংখ্য ক্রেতা ইতোমধ্যে মূল্য পরিশোধও করেছেন। এতে গির্জাটি ইতোমধ্🐠যে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি