ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহ🔯া বা কুরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই ঈদ পালিত হয়। পশু কোরবানির আগে ঈদের নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জামাত ছাড়া🌜 ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
ঈদের নামাজ
ঈদের নামাজ দুই রাকাত। এতে আজান-ইকামত🎉 নেই। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। তবে 𓄧জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।
প্রথমত, স্বাভাবিক নামাজের মতোই নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বেঁধে সানা পাঠ করবেন। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দ♔েওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া। তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন। অতঃপর নিয়মিত নামাজের𓂃 মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাতে কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে 😼যাবেন। সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
তারপর খুতবা
ঈদের নামাজ♏ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযো⛎গের সঙ্গে শুনবেন।
ঈদের নামাজের নিয়ত
نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন🎐 উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াঝিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াঝঝিহান ইলা ঝিহাতিল কাবা♍তিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
সানা
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া🌄 বিহামদিকা ওয়া তাবারাক💦াসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।