শীতকালে আমাদের পোশাকে অনেক পরিবর্তন আসে। এসময় ভারী পোশাকই পরতে হয় ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে। শীতের পোশাক হিসেবে সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি জুতা পরা হয় ফ্যাশন অন⛄ুযায়ী। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে শালের ব্যবহার। আসলে শীতপোশাকে যতকিছুই থাকুক না কেন শাল যেন থাকতে💯ই হবে। অনেক ধরণের শালই পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু কাশ্মীরি শাল বেশ জনপ্রিয়। কারণ এটি বেশ আরামদায়ক।
এই শাল মূলত হিমালয়ের পার্🔯শ্ববর্তী অঞ্চল, মঙ্গোলিয়া, ইতালির উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চল, ইংল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়ান পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে এক জাতের লম্বা পশমবিশিষ্ট ছাগল পাওয়া যায়, যেগুলোকে ক্যাপরা হিরকাস 🎀ছাগল বলে। এই ছাগলের পশম থেকেই তৈরি হয় কাশ্মীরি শাল। এদের গায়ের পশম খুবই চিকন এবং সিল্কি।
বন্য পরিবেশে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও এরা বেঁচে থাকতে পারে। দুই রকমভাবে এসব ছাগল থেকে পশম সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কথা হলো অনেকে কাশ্মীরি শাল কিনতে গিয়ে ঠকে যান চিনতে না পারার কারণে। এটি চেনার কিছু কৌশল রয়🤪🌠েছে।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কাশ্মীরি শাল চেনার উপায়-
১. কাশ্মীরি শাল থেকে সামান্য একটু সুতা বের করে নিয়ে তাতে একটু আগুন লাগিয়ে দেখুন। পুড়ে যাওয়ার পরে যদি পোড়া চুলের গন্ধ বের হয়, তাহলে বুঝবেন এই শাল আসল। কারণ কাশ্মীরি শাল একদমই প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই এর থেকে পো🧸ড়া গন্ধ বের হবে
২. শালের সুতায় আগুন না দিয়েও পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এর জন্য শালটিﷺ হাতে নিয়ে রোদের মেলে ধরুন বা কৃত্রিমভাবেও আলো ফেলতে পারেন। এবার খেয়াল করে দেখুন শাল চকচক করছে কি না। কাশ্মীরি শালের একটা আলাদা উজ্জ্বলতা আছে, কিন্তু অতিরিক্ত চকচকে করলেই বুঝবেন নকল। হয়তো আলাদা কোনো সুতা মেশানো আছে।
৩. শীতের কাপড় থেকে বেশির ভাগ সময় সুতার বুটি ওঠে। আর শাল থেকে সুতার বুটি উঠলেই শালের সৌন্দর্য কমে যায়। একইভাবে কাশ্মীরি শাল থেকেও সুতার বুটি উঠতে পারে। এটি যেকোনো চাদরের স্বাভাবিক একটি বৈশিষ্ট্য। সুতার বুটি উঠলে বুঝবেন শালটি আসল এবং ভালো ম༒ান♏ের।
৪. ভালো মানের শীতের কাপড় পরলে আরাম অনুভব হবেই। কাশ্মীরি শাল খুব নরম এবং আরামদায়ক। এটি পরার পর আপনার ত্বকে ঘষা লাগবে না। ত্বক লাল হবে না বা চুলকানিও হবে না। এমন কিছু♔ হলে বুঝবেন শালটি আসল নয়।