চাল, ডাল, ম🥃াছ, মাংস, তেল, লবণ, সাবান, শ্যাম্পু আরো যত সামগ্রী। এক কথায় গৃহস্থালির যাবতীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকে সুপারশপ। ক্রেতাদের💃 সুবিধার জন্য থাকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিক্রয় সহকারী, আরামদায়ক পরিবেশ, সুবিশাল পরিসর, পণ্য দেখে-শুনে-বুঝে কেনাসহ আরো কত কী। সুপারশপগুলোতে শপিংয়ের কিছু আদবকেতা মেনে চলা উচিত। যাঁরা শপিংয়ে এরই মধ্যে অভ্যস্ত তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু নতুন যাঁরা সুপারশপে শপিং করতে চান তাঁদের নিয়মগুলো জানা থাকলে বিব্রত হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন। চলুন তাহলে জেনে নিই—
- সুপারশপের প্রবেশমুখে একজন সহকারী থাকেন। তাঁর কাজ শপিং করতে আসা ক্রেতাদের ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস বাইরে নিজের কাছে রেখে দেওয়া। আপনার কাছে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস তাঁর কাছে দিয়ে তবেই সুপারশপে প্রবেশ করুন। এ সময় জমা রাখা জিনিসটির পরিবর্তে একটি টোকেন নিতে ভুলবেন না। এটি নিজের কাছে রেখে দিন। আপনার ব্যাগটি ফেরত নেওয়ার সময় এই টোকেন কাজে লাগবে। অনেক সুপারশপে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য আলাদা প্রবেশ দরজা থাকে। এই নির্দেশনা মেনে চলুন।
- আপনি কী জিনিস কতটুকু পরিমাণে কিনতে চান তার ওপর ভিত্তি করে ঝুড়ি বা ট্রলি বেছে নিন। সঙ্গে যদি ছোট সন্তান থাকে তাহলে তার সুবিধার জন্য চাইল্ড ট্রলি নিতে পারেন। এতে আপনার শিশু সেখানে বসে পুরো সুপারশপ ঘুরতে পারবে।
- সুপারশপগুলোতে বিভিন্ন পণ্য ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন র্যাক বা গলিতে সাজানো থাকে। যেমন চাল, ডাল, পেঁয়াজ, লঙ্কার মতো পণ্যগুলো একই জায়গায় পাবেন, তেমনি কসমেটিকস পণ্যগুলোর জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার।
- থরে থরে সাজানো পণ্য থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসটি তুলে নিন। ভেতর থেকে নিতে যাবেন না। এতে পণ্যের বিন্যাস বিশৃঙ্খল হয়ে যেতে পারে। হাতের নাগালের বাইরে বা ভেতরে থাকা কোনো পণ্য নিতে প্রয়োজনে বিক্রয়কর্মীর সাহায্য নিন।
- শপিং শেষে রসিদটি নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন। পরে কোনো জিনিস পরিবর্তন করতে বা ফেরত দিতে এই রসিদটি প্রয়োজন হবে।