ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বনও্ধের আহ্বান জানিয়েছে স্পেন ও বেলজিয়াম। একই সঙ্গে গাজায় নির্বিচার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের তীব্র নিꦅন্দা জানিয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা। তবে, তাদের এ বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স, জেরুজালেম পোস্টসহ বেশ কয়েকটি গণমাܫধ্যম।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গাজা উপত্যকার রাফাহ ক্রসিংয়ের মিশর অংশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো সানচেজ ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রো। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাদের এ সংꦦবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের ‘নির্বিচার’ হামলার নিন্দা জানা💦ন পেদরো সানচেজ ও আলেক্সান্ডার ডি ক্রো।
সানচেজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘আধুনিক যুগের সবচেয়ে খারাপ মানবিক ব𝕴িপর্যয়’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা একটি বিপর্যয় এবং আমাদের এই বোমাবর্ষণ কার্যকরভাবে বন্ধ করে সেখানে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।”
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গাজায় যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় বরং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি স্বাܫধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষ🔴য়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে স্পেন সরকার।”
পেদরো সানচেজ বলেন, “যদি ইউরোপীয় ই🌊উনিয়ন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে আমরা এককভাবে এ কাজ করব।”
এসময় ফিলিস্তিনকে স🤪্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান পেদরো সানচেজ।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর বক্ত🍸ব্য সমর্থন করে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীও গাজায় স্থায়ীভাবে ಌযুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
এদিকে, ফিলিস্তিনের পক্ষে স্পেন ও বেলজিয়াম সরকারের𝓰 এই কঠোর অবস্থানে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবারই তেল আবিবে নিযুক্ত স্পেন ও বেলজিয়া♐মের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে দখলদার সরকার।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন ওই দুই ইউরোপীয় প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমরা সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার প💯র হামাসকে ধ্বংস করে বাকি পণবন্দিদ🥀ের মুক্ত করে আনা পর্যন্ত যুদ্ধ করব।”