বাণিজ্যিক জাহাজ⛎ে হুতি বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলা ঠেকাতে মার্কিন নৌবাহিনীর নেতৃত্বে ১০ দেশের একটি জোট গঠিত হচ্ছে। যদিও জাহাজ কোম্পানিগুলো এখনো এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
লোহিত সাগরে হুতিদের ধারাবাহিক হামলায় বিশ্বের অনেক ব্যবসায়ী নৌপথ বদল করতꦉে বাধ্য হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জাহাজ কোম্পানি ও সমুদ্রপথে যাতায়াতবিষয়ক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জ🏅ানিয়েছেন, য💙ুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জোট গঠনের যে উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়ে তাদের ধারণা খুব সামান্য।
গঠিত হতে যাওয়া এই জোট পরবর্তীতে নতুন কোনো হামলার ক🎃্ষেত্রে সরাসরি সংঘাতে জড়াবে কিনা, সেটাও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত সপ্তাহে বাহরাইন𒐪 সফরে গিয়ে বলেছেন, বাহরাইন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, নরওয়ে, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সেশেলস ও🅠 স্পেন মার্কিন নেতৃত্বাধীন নৌজোটে অংশ নিবে। এই জোটটি লোহিত সাগর ও পার্শ্ববর্তী এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
এদিকে হুতিদের নেতা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালালে তারাও মার্🏅কিন যুদ্ধজাহাজে হামলা করবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন শুরুর পর ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলা বেড়ে যায়। হুতিরা গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায় সম্পৃ🍸ক্ত জাহাজগুলোকে টার্গেট করে এই হামলা করছে। তারা জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি দ্রুতগামী নৌকাযোগেও হামলা পরিচালনা করে চলেছে।
সমুদ্রপথে ন✅িরাপত্তা দেওয়া কোম্পানি ড্রায়াড গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কোরি রানস্লেম বলেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর নেতৃত্বাধীন জোট সম্পর্কে এখনো অনেক তথ্য অজানা। তিনি বলেন, “আমরা এখনো জানি না যে কতগুলো যুদ্ধজাহাজ এই জোটে অংশ নেবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর হুতি কমান্ডোরা গাড়িবাহী জাহাজ গ্যালাক্সি লিডারে হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করে এবং সেটিকে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের হোদেইদা বন্দরে নিয়ে যায়। ওই জাহাজটি এবং এর কর্মীরা এখনো হুতিদের হেফাজতেই রয়েছে।
সূত্র-রয়টার্স