ইসরায়েলের ভূখণ্ডে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। গাজা ও লেবাননে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং আইআরজিসি নেতাদের হত্যဣার প্🍃রতিশোধ হিসেবে ভয়াবহ এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে তেহরান।
তবে বসে নেই ইসরায়েল। দেশটির নেতারা বলছেন, ইরানের হামলার প্রত্যুত্তর দেবেন তারা। তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, ইরানকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে জরুরি বৈঠক♑ ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরি⭕ষদ।
জꦕাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলে দূত ড্যানি ড্যানন এক চিঠিতে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, “তারা (ইরান) ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।” তিনি ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা প🌟রিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের ঠিক কোন জায়গাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ইসরায়েল তা নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান সংক্রান্ত পরিচালক আলী ভায়েজ বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতেই হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ🀅বাবে তেহরান বলেছে, মিসাইল হামলার জবাবে ইসরায়েল♛ যদি কোনো ধরনের পাল্টা হামলা চালায় তবে ইরান আরও ভয়াবহ হামলা চালাবে।
এমন হুমকি, পাল্টা হুমকির পর মধ্যপ্রাচ্য যে বড় যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। ইসরাইলে ইরানের হামলার ঘটনাকে ভয়াবহ বিপদের আলামত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেই প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যই শুধু নয়, অন্যসব অঞ্চলের মতো বাংলাদেশেও প༒ড়বে বলে মনে করছেন তারা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “বৈশ্বিক এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ শৃঙ্খল মাꩵরাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও।” এছাড়া, এতে জ্বালানির বাজারও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এমন সংকটে বাংলাদেশের ওপর নানামুখী প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরই তেলের বাজারে প্রভাব পড়ে। বিশ্বজুড়ে হু হু করে বেড়ে গেছে তেলের দাম। যার প্রভাব দ্রুতই পড়বে বাংলাদেশে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়া অর্থ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামﷺও বেড়ে যাওয়া।
এ ব্যাপারে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, “যুদ্ধের প্রভাবে বাড়তে পারে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম। কারণ পণ্য পরিবহনে জাহাজের ভাড়া, ইন্স্যুরেন্স ও সময় বাড়বে। এতে ধাক্কা খেতে পারে দ❀েশের রেমিট্🦹যান্স প্রবাহও।”
তবে ড. ইমতিয়াজ মনে করেন, আমেরিকার জনগণের কাছে গাজায় গণহত্যার চিত্র💛 পরিষ্কার। আরব বিশ্বে বিভাজন আরও পরিষ্কার। ইরানও বড় ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। এতে বিশ্বের সব মুসলিম দেশই পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের যুদ্ধে যা🍬ওয়া হবে সবার জন্য আত্মঘাতী। কারণ যুদ্ধ থামাতে আমেরিকার জনগণ ভূমিকা রাখতে পারে।