মাত্র কিছুদিন আগেও ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু টানা তিন টেস্ট জিতে যেন চ্যাম্পিয়নশিপের চিত্রটাই বদলে দিয়ꦇেছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে হারিয়েছে সনাৎ জয়সুরিয়ার শিষ্যরা। এরপর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে দুই টেস্টেই। বিপরীতে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ নিজেদের শেষ দুই টেস্টেই পেয়েছে হারের স্বাদ।
ভারতের জন্য অবশ্য পথটা সহজ। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেলেও অস্ট্রেলিয়াতে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে অন্তত দুই ম্যাচে জয় চা🦩ই তাদের। সেক্ষেত্রে ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টের শতাংশ থাকবে ৭০ এর বেশি। যা তাদের লর্ডসের ফাইনালে পৌঁছে দেবে অনায়াসে। তবে নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াতে সিরিজ ড্র করলেও চলবে তাদের জন্য।
ভারত যদি নඣিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে এবং বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে বসে, সেক্ষেত্রে ভারতের পয়েন্ট শতাংশ থাকবে ৬৫.৭৮। সেটাও ভারতের ফাইনালের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তবে টানা ৮ টেস্ট হারলে বিপাকে পড়বে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য পরিস্থিতি কঠিন। বাকি ৭ টেস্টে জিততে হবে ৬টিতে। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে হারা বা ড্র করা চলবে না তাদের। ভারতের সঙ্গে ২-২ ড্র করার পর শ্রীলঙ্কাকে🌞 ২-০ ব্যবধানে হারালেও অজিদের পয়েন্ট শতাংশ থাকবে ৬২ এর বেশি🐈। যা ফাইনালের পথে বড় রকমের বাঁধা হতে পারে।
ভারত ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশের꧑ সঙ্গেই ড্র করলে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট শতাংশ নামবে ৫৭তে। ফাইনালের আশা সেক্ষেত্রে বাদ যাবে অজিদের।
শ্রীলঙ্কার সামনে বাকি ৪ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ৪ টেসཧ্ট জিতলেই লংকানরা যাবে ফাইনালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ টেস্টে হারলেও সুযোগ থাকবে তাদের। সম্ভাব্য পয়েন্ট শতাংশ হবে ৬১.৫৩🎐। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ হওয়াতে এগিয়ে লঙ্কানরেই। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা দুই টেস্টে হারলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াই ফাইনালে যাবে।
বাংলাদেশ ছিটকে পড়েছে ফাইনালের দৌড় থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুটি করে মোট চ♔ার টেস্টে জয় পেলেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন হবে মাত্র ৫৬.২৫ শতাংশ।
