• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সমবায় ব্যাংক

যেভাবে ১১ হাজার ভরি সোনা আত্মসাৎ হলো


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০২:০১ পিএম
যেভাবে ১১ হাজার ভরি সোনা আত্মসাৎ হলো

ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠি♊ত হয়। সেই ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ২০২১ সালের আগে ২ হাজার ৩১৬ গ্রাহকের বন্ধক রাখা ১১ হাজারের বেশি ভরি (প্রতি ভরি ১১ দশমিক ৬৬ গ্রাম) সোনা আত্মসাৎ করেছেন। তখন আত্মসাৎ করা সোনার মূল্য ছিল ৪০ কোটি টাকার বেশি। তাকে সহযোগিতা করেন সমবায় ব্যাংকের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্ম🃏কর্তা। 

গত ২৯ সেপ্ট♏েম্বর কুমিল্লার কোটবাড়িতে ไএক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ স্বর্ণ আত্মসাতের বিষয়টি আলোচনায় আনেন।

এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “সমবায় ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা করে আমি ১২ হাজার ভরি সোনা আত্মসাতের তথ্য জানতে পারি। বিষয়টি তদন🐲্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জড়িতদ♕ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতꦑে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শেষ করে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

মামলার এজাহারে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহিসহ আট ব্যাংক কর্মকর্তার নাম আছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ম⭕হিউদ্দিন আহমেদ মহি নেই। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসং🤡যোগ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম বলেন, “মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।”

দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও অন্যরা প্রতারণা𒁏র মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ার প🦹াশ কাটিয়ে ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের বন্ধক রাখা সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা সোনা আত্মসাৎ করেন।

সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহ🍰ী কর্মকর্তা আহসানু🧸ল গনি বলেন, “আমরা যত দূর জানি ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ও ১১ আনা বন্ধকি স্বর্ণ আত্মসাৎ করা হয়েছে, এটি স্বর্ণের নিট ওজন। তবে মোট ওজন ১১ হাজার ভরি ছাড়িয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে জানতে মহিউদ্দিন আহমেদ মহির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও 🐓তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

তদন্তকালে সমবায় ব্যাংকের ঢাকা শাখার অনুমোদন পাওয়া বন্ধকী সোনা ফেরত চাওয়া ৪৫৫টি আবেদন সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করেছিল দুদক। এতে দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ১২০টি আব💧েদন প্রকৃত মালিকরা করেছেন, বাকি ৩৩৫টি আবেদনে স্বাক্ষরে অসঙ্গতি দেখা গেছে এবং সংশ্লিষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি।

তদন্তে জান💫া গেছে, এই ব্যক্তিরা প্রকৃত মালিকদের পরিবর্তে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বন্ধকী সোনা সরিয়েছে। এভাবে ওই সময় আট কোটি ৬৪ লাখ টাকা মূল্যের এক হাজার ৫ཧ৯৪ ভরি ১৪ আনা সোনা আত্মসাৎ করা হয়।

তদন্তে আরও দেখা যায়, ব্যাংক কর্মকর্ত🌺ারা সহযোগিতা না করলে তাদের চাকরি𝕴চ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিꦺভ ক্রেডিট লিমিটেডও তাদের গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণে সোনা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকে রেখেছিল। সেই বন্ধকী সোনার জন্য দুদক এক হাজার ৯৮৪টি আবেদন খুঁজে পেয়েছে। যেগুলো ব্যাংক অনুমোদন ⛄দিয়েছিল। অথচ এই আবেদনগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটি আবেদন বৈধ ছিল।

বাকি আবেদনগুলোর স্বাক্ষর ও পরিচয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। ফলে, এখান থেকে পাঁচ হাজার ৮০৩টি ভরি ১৩ আনা সোনা আত্মসা🦹ৎ করা হয়েছে, যার মোট মূল্য ৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের কাছ থ𓂃েকে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকার স্বর্ণ আত্মসাৎ করা হয়। কিন্তু 𓃲বন্ধকী পরিশোধ করায় এই প্রতারণার ফলে আত্মসাতের অঙ্ক দাঁড়ায় ১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসা🀅নুল গনি বলেন, “যখন ব্যাংকের চেয়ারম্যানই প্রধান অপরাধী, তখন ব্যাংকের পক্ꦗষে কিছু করার থাকে না। তবে সব আসামিকে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়েছে এবং তাদের কাউকেই ব্যাংকে ফিরিয়ে আনা হয়নি।”

তার ভাষ্য, “বর্তꦬমান বোর্ড যে কোনো নতুন তদন্তে সহয🔴োগিতা করবে।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!