আলোচিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন গুম-সংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আয়নাঘরের বর্ণনা ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গেꦏ মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর𓂃) সকালে গুম-সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এরই মধ্যে বিভিন্ন💫 আয়ন🍨াঘরে নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক দেয়ালে রঙ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্ষ ভেঙে ফেলারও প্রমাণ মিলেছে। তবে কোনো ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি।”
কমিশনের সদস্যরা জানান, তারা লিখিতভাবে আয়নাঘরে সব ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য বলেছেন। অভিযুক্তদের তলব করে বিষয়টি ব্যা𒅌পকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। গুমে অভিযুক্ত যেসব ব্যক্তি পালিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জা🦩নান, গুম-সংক্রান্ত যে বর্ণনাগুলো তারা পেয়েছেন, সেই অনুয♕ায়ী এখন সেলগুলো অনেকাংশে নেই। বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, কিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে মাত্র ১৩ কা🗹র্যদিবসে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই র্যাবের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই; এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন🐎 করে সরকার।
বিভিন্ন বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্য🐎ক্তি সমষ্টি কর্তৃক আয়নাঘর বা কোনো অজ্ঞাতনামা স্থানে বলপূর্বক গুম করে রাখার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতে ও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এবং গুম প্রতিরোধে সুপারিশের জ🌠ন্য এ কমিশন গঠন করা হয়।