ফিলিস্তিন🍨ের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও তাꦜর অনাগত শিꦆশুও রয়েছে। এছাড়া গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জা🍒জিরা।
আল জাজিরা বলছে, মধ্য গাজায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারী এবং তার অনাগত সন্তানসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হ🍎য়েছেন ব𝐆লে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থ🌌াটি বলছে, নুসেইর🙈াত শরণার্থী শিবিরের আল-জাওয়াইদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের ভিড়ে বোমা হামলা করা হলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা আরও জানিয়েছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের চলমান হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায💛় অন্তত আরও আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
একজন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, শহরের দাꦉরাজ এলাকায় ইসরায༺়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে যার বয়স এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি।
অন্যদিকে শহরের তুফাহ পাড়ায় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলꩲায় দুই নারী ও এক নাবালক শিশুসহ আরও চারজন নিহত হ📖য়েছেন।
এদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদ🔜ের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বা𒉰স্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইসরাইলি হামলায়൩ ৭৯ হাজার ৮৫২ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায়💮 আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’
বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধব⛎িরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ𓃲 এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ🔥, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছা𝐆ড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্র🌠ায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রম🀅ণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮꧙৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূ꧅খণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।