ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সক😼াল ৮টা 𒊎পর্যন্ত ৯টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এগিয়ে আছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএন-এল)।
ওই সময় পর্যন্ত ডনে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ৯টি আসনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পি🤪এমএল-এন ৪টি আসনে জয় পেয়েছে। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা ৩টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ২টি আসনে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগে💙ই। তাই বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোꦦনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে জয়ী দল𓆏 পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধরജ হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী।
বিলম্বে ফল ঘোষণা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ‘ইন্টারনেট ইস্যুতে’ ফল ঘোষ🐼ণায় বিলম্ব হয়েছে। তবে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মুঠোফোন সেবা। দেশটির অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাক✨া কিংবা গতি কম থাকার খবরও জানা গিয়েছিল। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে পাকিস্তানে মোবাইল সেবা চালু রয়েছে।
ফল ঘোষণা দেরিতে শুরু করা নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের ꦺঅনেকের মতে, এর মধ্য দিয়ে কারচুপির কৌশল বেছে নেওয়া হচ্ছে।