• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৪, ১১:১৬ এএম
চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা 🧜১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। 

বৃহস্পতিবার (♚৮ আগস্ট) সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তার সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।𓂃 সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। খবর পেয়ে সুচেতন সেখানে পৌঁছেছেন।

খবর আনন্দবাজার অনলাইন।

গত বছরের ৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। এর আগে ২৯ জুলাই আꦯশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বেশ কয়েক দিন তাকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রাখেন চিকিৎসকেরা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হাসপাতালে প্রথম কয়েক দিন মূলত আচ্ছন্ন অবস্থাতেই ছিলেন বুদ্ধদেব। তবে ক্রমশ তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেন। ১২ দিনের মাথায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। বাড়িতে ফিরে অবশ্য কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রাখা হয়েছিল তাকে।

দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন। আগꩵেও একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময়💯েও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাকে। সেখান থেকে বিপদমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন।

২০২১-এর মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রাꩲন্ত হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৮ মে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। একই সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মীরাকে। দুজনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে।

২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বুদ্ধদেব সংবাদ🌌ের শিরোনামে আসেন পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নাম মনোনীত করলেও, তিনি এই সম্মান নিতে অস্বীকার করেন।

বুদ্ধদেবের ১১ বছরের শাসনকালের শেষ পাঁচ বছর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নানা দিক থেকেই এক সরগরম পর্ব। এই রাজনৈতিক উত্তাপের গোটাটাই ছিল তার শিল্পায়ন-নীতিকে ঘিরে। যে শি🌸ল্পায়নকে বুদ্ধদেব বাজি ধরেছিলেন, সেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিই বুদ্ধদেবের পায়ের তলার জমি সরিয়ে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরা মুখ্যমন্ত্রীকে প🙈াঁচ বছর পরই শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে অবসান হয় সাড়ে ৩৪ বছরের একটানা বাম শাসনের।

Link copied!