ব্রিটিশ মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোন ও ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ 🌞সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেশটির সরকার। অপরদিকে টিকটককে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে।
শুক্রবার (১✃৭ মার্চ) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সরকারের আশঙ্কা টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল ডেটা চীন সর𒀰কারের হাতে চলে যেতে পারে।
ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেছেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এটি কার্যকর হবে। 💦তবে জনসাধꦡারণকে টিকটক ব্যবহার করার বিরুদ্ধে কোনো পরামর্শ দেবেন না।
যদিও টিকটক বরাবরই ব্য𓃲বহারকারীদের ডেটা চীনা সরকারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেছেন, অন্য যে🏅কোনো কিছুর চেয়ে ভূ-রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “মানুষের ভয়ের ভিত্তিতে নয়, বাস্তবতার ꦚভিত্তিতে আমরা সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।”
এছাড়া টিকটককে কেন্দ্র ꦺকরে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনಌের প্রশাসন অ্যাপটিকে চীনা কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করতে বলেছে। অন্যত্থায় এটি যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানানো হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্♋রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যাপটির ✅মালিকানার ৬০ শতাংশ বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন, ২০ শতাংশ কর্মচারীদের এবং ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠাতাদের। তবে টিকটক বলছে, জোরপূর্বক মালিকানা বিক্রি অ্যাপটির তথ্য প্রবাহ পরিবর্তন করবে না।
গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, টিকটক ব্যবহারকারীদে🍸র প্রচুর তথ্য চীনা সরকারের হাতে পড়তে পারে। ফলে বাইটড্যান্সের মালিকানা থেকে অ্যাপটিকে বের করতে চায় তারা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহার করেন প্রায় দশ কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ। কিন্তু নিরাপত্তা সংক্র🉐ান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।