মিয়ানমারের গণতন♛্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি আছেন। যেখান থেকে চরম দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে তার ছেলে কিম অরিসের কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি।
চিঠিতে সু চি জানান, দাঁতের এℱবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এ অবস্থায় সুচির স্বাস্থ্যগত স♍মস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিম অরিস।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় তিন বছর নীরবতার পর মা অং সান সু চির হাতে লেখা এক൲টি চিঠি যেদিন পেয়েছেন ছেলে কিম অরিস, সেদিনটি তার কাছে বিরাট একটি মুহূর্ত।
এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বাড়ি থেকে জুম মাধ্যমে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ভয়েস অব আমেরিকার’ সঙ্গে কথা বলেছেন কিম অরিস। এ সময় তিনি মিয়ানমারে জেলে তার মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ﷺগভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অরিস নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তার মায়ের হাতের লেখা একটি চিঠি পেয়েছেন। প্রথমে সেটা ছি💙ল ছবি। পরে হাতে লেখা মূল চিঠি পেয়েছেন।
অরিস জানা🍷ন, তার মা, মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অরিসের ভাষায়, তাকে আমি ‘কেয়ার প্যাকেজ’ এবং পরিবারের ভালোবাসা হিসেবে যা পাঠিয়েছি, তার জন্য ত🧜িনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এখন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এখনো তার দাঁতের অবস্থা বাজে। ফলে খাবার খাওয়া তার জন্য মাঝে মাঝেই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া তার অস্টেপেরোসিস আছে। এই রোগে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে।
অরিস বলেন, “মা অসুস্থ। 🍌এ কথা শোনার পর সেপ্টেম্বরে আমি তার কাছে একটি ‘কেয়ার প্যাকেজ’ পাঠাই। যদিও তা রেঙ্গুনে পৌঁছে সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তা মা পেয়েছেন ডিসেম্বরের শেষে। এরপর তার জবাব পেয়েছি মধ্য জানুয়ারিতে।”
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে শুধুܫ মিয়ানমার নয়, সারা বিশ্বে ক্ষোভ দেখা দেয়। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক। এস♓ব মামলায় তাকে ২৭ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।