ইকুয়েডরের দক্ষিণ𒐪াঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া প্রায় ৬২ জন নিখে♍াঁজ ও আহত হয়েছেন ২৩ জন। উদ্ধারকারীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা ১৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানালেও, দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো সোমবার রাতে 🐻রাজধানী কুইটো থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিপর্যস্ত আলাউ🐼সি গ্রাম পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা ৭ জন বলে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি লাসো শহরের মানুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে গত রোববার দক্ষဣিণে চিমবোরাজো প্রদেশের আলাউসি গ্রামে এ ভূমিধসেরꦚ ঘটনা ঘটে। এতে বেশকিছু সংখ্যক বাড়ি চাপা পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে হিমবাহের কারণেও কিছু সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ও তিনটি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।
ইকুয়েডরের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছꦇে, রোববার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ২৩ জন আহত🅺 রয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো বলেছেন, অগ্নিনির্বাপনকারীরা ক্ষওতিগ্রস্ত লোকজনকে সাহায্য 🐈করতে আশপাশ থেকে ওই গ্রামে ছুটে এসেছেন।
সরকার দুর্গত এলাকায় জাতীয় পুলিশ, সশস্ত্র ব꧒াহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও রেডক্রস উদ্🍌ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে।
লুইস অ্যাঞ্জেল গঞ্জালেজ নামে এক ব্যক্তি তা🌊র মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি খুব ব্যথিত🦋, বিধ্বস্ত। এখানে কিছুই নেই , ঘর নেই। আমরা গৃহহীন, পরিবারহীন।”
গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় গণ▨মাধ্যমকে জানিয়ে, তারা ভূমি🐻ধসের আগে পাহাড়ে কম্পন অনুভব করেছিল। তাদের ধারণা, ভূমিধসটি ৪৯০ ফুট প্রশস্ত এবং প্রায় আধা মাইল দীর্ঘ। এটি গাছপালা, বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন সব টেনে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার টন মাটি ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে ৫০টিরও বেশি বাড়ি।