ক্যান্সার মরণব্যাধি রোগ। সম্প্রতি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শরীরে জন্য় যেকোনও ক্যান্সারই মারাত্মক। ব্রেস্ট ক্যান্সারও এর মধ্যে একটি। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ব্রেস্ট ক্যান্সার ভয়াবহ। তবে এই রোগে নারীরা বেশি আক্রান্ত হোন। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ক🎐ী কী কারণে নারীরা বেশি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্⛦ত হচ্ছেন তার কিছু কারণ রয়েছে।
গর্ভধারণ
বিশেষজ্ঞরা জানান, নারীরা যদি দেরি করে গর্ভধারণ করেন তবে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ দেরিতে গর্ভধারণ করলে নারীদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন জমে। ব্রেস্টের মধ্যে থাকা কোষ থেকেও অতিরিক্ত পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এক্ষেত্রে নারীদের বয়স ৩০ বছর কিংবা এর আগে সন্তানের জন্ম দিলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থ🔥াকে। সন্তানকে স্তন্যদুগ্ধ পান না করানোও ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আরও একটি কারণ।
অতি দ্রুত ঋতুচক্র-দেরিতে মেনোপজ
বিভিন্ন গবেষণায় উ🦋ঠে এসেছে, মেয়েদরে ১২ বছর বয়সের আগে ঋতুচক্র শুরু হলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পরে। আবার দেরিতে মেনোপজ হওয়াও একটি কারণ। নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় মেনোপোজ।
ব্রেস্টের ঘনত্ব বেশি হলে
যে নারীদের ব্রেস্টের ঘনত্ব ব♎েশি থাকে তাদের ব্রেস্টে ফাইব্রোস কোষও বেশি থাকে। তাদের ব্রেস্টে কম ফ্যাট থাকায় ঝুঁকি বাড়ে। ব্রেস্টের ঘনত্ব বেশি থাকলে ক্যান্সার কোষগুলোকে চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লেও তা শনাক্ত করা যায়🌠 না।
জন্ম নিরোধক ওষুধ
নারীরা জন্ম নিরোধক ওষুধ সেবন করেন। এটি নারীদের হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ ক♈রে। হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে যায়। যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল
ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম একটি কাꦿরণ অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, অনিয়মিত ঘুম, মানসিক চাপসহ বিভিন্ন কারণে নারীদের শরীরে হরমোনের উপর প্রভাব পড়ে। যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। সুস্থ জীবনযাত্রা সুস্থ দেহের পূর্বশর্ত। তাই অল্প বয়স থেকেই নারীদের স্বাস্থ্যকর 🍌জীবনযাত্রার মেনে চলতে হয়।