• ঢাকা
  • বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মর্নিং অ্যাংজাইটি কাটাতে যা করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
মর্নিং অ্যাংজাইটি কাটাতে যা করবেন

দিনভর কাজের চাপে অস্থির। রাতে ঘুমাতেও যাচ্ছেন দেরিতে। ঘরে-বাইরে কাজ সামলে একরাশ দুশ্চিন্তা, উদ্বেগের মেঘও জমছে মনে। ঘুম চোখ খোলা মাত্রই সেই সব চিন্তাভাবনা ফের ঘিরে ধরছে আপনাকে। ফলে সকাল থেকেই বিগড়ে যাচ্ছে মনমেজাজ। সারা দিন খিটখিটে মেজাজ নিয়েই থাকছেন। কোনো কাজেই মন বসছে না। কিছুই যেন ভালো লাগছে না। ঘন ঘন মেজাজও বদলে যাচ্ছে। মনোবিদেরা এই ধরনের মানসিক স্থিতিকে বলেন ‘মর্নিং অ্যাংজাইটি🦹’। অনেকেই ভোগেন এই সমস্যায়। হয়তো আপনিও মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তা হলে জেনে নিন কী করণীয়।

১. মন অশ🍒ান্ত থাকলে ধৈর্য রাখাটা খুব কঠিন। দুশ্চিন্তা সহজে দূর করা যায় না। মনোবিদেরা বলছেন, মন নিমেষে ভালো করার উপায় হলো হাসি। প্রাণ খুলে হাসুন। যদি দেখেন মেজাজ ভাল নেই, তা হলে ‘জোকস’ পড়ুন অথবা কমেডি শোয়ের কোনো ক্লিপিং দেখুন। দেখবেন, কিছুক্ষণের জন্যও মন থেকে দুশ্চিন্ত🍃াগুলি মুছে গেছে।

২. আপনি কি জানেন, বেশি চিনি দেওয়া খাবার খেলে মেজাজ খারাপ হয়? তাই সকাল সকাল এমন খাবার খাবেন না। বরং ফল, শাকসব্জি খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রাতরাশে ওট্‌স, ডালিয়া বা কিনোয়া রাখতে পারেন। তার সঙ্গে মৌসুমি ফল খান। বেশি চিনি দিয়ে ফলের রস বা প্যাকেটবন্দী ফলের রস খেলে কিন্ত🐽ু হবে না। এমন খাবার খান, যার পুষ্টিগুণ বেশি।

৩. যারা সকালে যোগাসন বা প্রাণায়াম করেন, তাদের মন অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো থাকে। ঘুম থেকে উঠে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য যোগাসন, মেডিটেশন করার চেষ্টা করুন। রোজ নিয়ম করে মিনিট ১৫ মেডিটেশন করলেও মন ভালো থাকবে। সকালে সময় না থাকলে রাতে শোয়ার আগে কিছুটা সময় ধ্যান করার চেষ্টা করুন, এতে রাতে ঘুম ভালো হবে, পাশাপাশি সারা দিনের উদ্⛎বেগ, উৎকণ্ঠা অনেকটাই দূর হবে।

৪. সকাল সকাল কাজের তালিকা তৈরি করে ফেলুন। কোন কাজ কখন করবেন, ঠিক সময়ে তা শেষ হবে কি না, কিংবা এত কাজের মধ্যে কোনোটি যদি করতে ভুলে যান—এই 👍সব নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা দেয়। তাই মনোবিদেরা বলেন, কাজের সুনির্দিষ্ট তালি𝓰কা তৈরি করে নেওয়া জরুরি। তা হলেই কোনটা করছেন আর কোনটা ভুলে যাচ্ছেন, বুঝতে পারবেন নিজেই। অকারণে উদ্বেগ তৈরি হবে না।

৫. মন ভালো করার অন্যতম উপায় হচ্ছে বই। যদি দেখেন কাজে মন বসছে না, কোনো বিষয় নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত, তা হলে কিছুক্ষণের জন্য সেই কাজ𒀰 বন্ধ করুন।𒆙 সেই সময়টায় পছন্দের বই পড়ুন। এতে ধৈর্যও বাড়বে, দুশ্চিন্তা দূর হবে।

৬. গান শুনলেও মন ভালো হয়। কানে হেডফোন গুঁজে পছন্দের গান শুনুন। দেখবেন, নিমেষে মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠ🎉েছে।

৭. মন বেশি খারাপ হলে পুরনো ছবির অ্যালবাম খুলে বসতে 😼পারেন। আপনার সুখের স্মৃতিগুলি তাজা হলে ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণও বাড়বে। মনমেজাজ তরতাজা হয়ে উঠবে। আপনার প্রিয় ছবিটিকে কম্পিউটারে আপলোড করতে পারেন এবং স্ক্রিনসেভার হিসাবে সেট করতে পারেন। এতে✨ কাজের উৎসাহও বাড়বে।

Link copied!