পানিবাহিত রোগ টাইফয়েড আপনার অবহেলায় যে কোন সময় হতে পারে। এটি এক ধরনের জ্বর যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। লমোনেলো টাইফি এবং সালমোনেলো প্যারাটাইফি এই দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণের টাইফয়েড হয়ে থাকে। এসব জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে। যদি কোনও খাবারের মধ্যে টাইফয়েডের জীবাণু থাকে তাহলে সেই খাবার গ্রহণে টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে ব🔯্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। ত❀াই টাইফয়েড থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে। এই রোগের জীবাণু যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয়গুলো হলো-
- যেহেতু পানির মাধ্যমে টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ায় তাই টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে চাইলে বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
- ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। বাড়ির পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রাখা।
- প্রস্রাব-পায়খানার পর এবং যে কোন খাবার খাওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
- থালাবাসন, ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোয়া
- খাবার আগে ফলমূল ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোয়া।
- খাবার ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া। আধা সেদ্ধ খাবার না খাওয়াই ভালো।
- বাইরের খাবার বিশেষ করে আইসক্রিম, বরফ বা বরফ দেওয়া শরবতসহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- কাঁচা দুধ বা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- টাইফয়েড প্রতিরোধে ভেকসিন নেওয়া।