• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


হাতির প্রেমে কোর্টে জয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
হাতির প্রেমে কোর্টে জয়া
অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুক থেকে

পশু প্রেমী  হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি নিজে পশু পালন করেন। পশুর প্রতি তার একটা গভীর প্র🤡েমও রয়েছে।🃏 সেই প্রেমের টানে হাতির প্রতি নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রোববার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) হ🍬াইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ ক✱রা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্যাপটিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত ꧂জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে। এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।’‘

তিনি আরও বলেন, “ নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য হাতিরা প্রায়শই নিজের ভেতরে থাকা ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফল⛄শ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কতিপয় অসৎ ব্যক্𒁃তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এ ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি বলেন, “আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। সার্কাস ও চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে 🍸নিয়ে বসে থাকে। যা দিয়ে সে হাতির 🍸শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে, চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর পরিপন্থি।”

আর এ কারণে হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে এই মহা বিপদাপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা। এর আগেও রাজধানীতে কুকুর অপসারণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জয়া আহসান।
 

Link copied!