এদেশের ব্যান্ড মিউজিকের জনপ্রিয়তাকে প্রসার𝕴িত করেছেন রকস্টার জেমস। জেমস, নাম শুনলেই একটি ছবি ভেসে ওঠে সবার মননে, ভ🐬েসে ওঠে এক রকস্টারের অবয়ব। যার গানে বহুরাত নির্ঘুম কেটে যায় হাজারো তরুণের, যে না থাকলে জমে না কোনো উৎসবের আসর।
জেমস কখনো নগরবাউল, কখনো রকস্টার আবার কখনো সঙ্গীতপাগল। পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। আজ ২ অক্টোবর, দেশের জনপ্রিয় এ শিল্পীর জন্মদিন। সঙ্গী💃তের এই কালপুরুষ পা রাখলেন ৫৮ 🍒বছরে। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন জেমস। তার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে।
জেমসের জীবন বেশ বাঁক বদলের, অনেক গল্পের। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারি, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ার♐ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের অমতেই সংগীত চর্চা শুরু করেন জেমস। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। সংগীতের নেশায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং নামক একটি বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। জেমস নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯🦹৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ꦫ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’।
এরপর তিনি বে🅰শ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। ‘দেশা দ্🔯য লিডার’, ‘সত্তা’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানও সুপার ডুপার হিট। জয় করেছেন ল🌸াখো ভক্ত-শ্রোতার হৃদ💦য়।
বলিউডে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- ‘ভিগি ভিগি’ (গ্যাংস্টার), ‘চল চলে’ (ও লামহে) এবং ‘আলবিদা’, ‘রিস্তে’ (লাইফ ইন ⛄অ্যা মেট্টো), ‘বেবাসি’ (ওয়ার্নিং)।
বর্তমানে নীরবে নিভৃতে♚ই কাটꦡে তার দিন। নিজের মতো করে থাকেন, গান করেন। জেমসের স্ত্রীর নাম বেনজির সাজ্জাদ। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দানেশ। দুই মেয়ে জান্নাত ও জাহান।