‘বদি’ খ্যাত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয় খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা বরকত🔯 উল্লাহ্ পরিচালিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটক। যেখানে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই অভি𓄧নেতা।
আব্দুল কাদের ১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্𒐪জের টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল, মা আনোয়ারা খাতুন। প্রথমে সোনারং হাইস্কুলে পড়ালেখা করে পরে বন্দর হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স ও এমএ পাস করেন তিনি।
আব্দুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৭২-৭৪ পর্যন্ত পরপর তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুহসীন হল ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসু নাট্যচক্রের কার্যনির্বাহী পরিষ⭕দের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সাল থেকে থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য এবং চার বছর যুগ্ম সম্পাদক ও ছয় বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে। পরে বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ 𓆏হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে বহুজাতিক কোম্পানি ‘বাটা’র উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন আব্দুল কাদের।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রের মাধ্যমে আব্দুল কাদেরের নাটক দিয়ে অভিনয়ের শুরু। থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনার সহস্রাধিক প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’ এবং ‘মেরাজ ফকিরের মা’। টেলিভিশনে ২ হাজারের বেশি নাটকে অভিনয় কর🦄েছেন এই অভিনেতা।
এ ছাড়া আব্দুল কাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। তিনি অভিনয় করেছেন বড় পর্দায়েও। ২০০৪ সালে রিয়াজ ও শ্রা🐓বন্তী অভিনীত ‘রং নাম্বার’সহ দুটি ছবিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে।
অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়ে🎶ছেন টেনাশিনাস পুরস্কার, মহানগরী সংস্কৃত গোষ্ঠী পু🌞রস্কার, জাদুকর পিসি সরকার পুরস্কার ও টেলিভিশন শ্রোতা ফোরাম পুরস্কার।