জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমাবার (২৪ জুন) তার সংগীত জীবনের ৬ দশক পূর্ণ হলো। দিনটি উপলক্ষে শুভেচ্ছায় ভাসছেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। এ উপলক্ষে চ্যানে⛦ল আই লালগালিচা সংবর্🧸ধনা জানিয়েছেন।
সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূরꦐ্ণ উপলক্ষে রুনা লায়লা বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আজ আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ ও শ্রদ্ধা যেন চিরকাল থাকে আমার সাথে।’
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের সংগী𒉰ত পিপাসু সকলের জন্যই আনন্দের ไএকটি দিন। রুনা লায়লা উপমহাদেশের সংগীতকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ব বোধ করি।’
বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা ও রুনার জীবনসঙ্গী আলমগীর বলেন, ‘রুনা কাজের ব্যাপার👍ে ভীষণ সিরিয়াস। ৬০ বছর টিকে থাকা এরকম সিরিয়াস না হলে, এরকম প্র্যাকটিস না করলে কোনও দিন সꦉম্ভব নয়।’
রুনা লায়লাকে নিয়ে কথা বলেছেন খুরশিদ আলম, কাজী হায়াৎ, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, ওমরসানি, লীনু বিল্লাহ, মানাম আহমেদ, ফোয়দ নাসের বাবু, শওকত আলী ইমন, মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা🍸।
ভিডিও বার্তা⭕য় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রুনা লায়লার ভ𝓡াই, মেয়ে ও স্বজনরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ বিদেশের তারকারাও।
ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলিউডের সনু নিগম🐟 বলেন, ‘আপনি এত ভালো কলাকার, আপনি এত সুন্দর, আপনার ব্যবহার এত ভালো। আপনার সাথে দেখা করার সৌভা💝গ্য হয়েছিল আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’
পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস শুভেচ♔্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জা💛নাই।’
অনুষ্ঠানের শেষে ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ গানটি গেয়ে শোনান সোমনুর মনির কোনাꦿল।
মাত্র ১২ বছর বয়সে ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কী পেয়ারি’ গানটি গাওয়ার মধ্যদিয়ে ১৯৬৪ সালের ২৪ জুন সিনেমার গানে পেশাগতভাবে মনোনিবেশ করেন বাংলাদেশের রুনা লায়লা। গানটি লিখেছিলেন তিসনা মেরুতি, কম্পোজ করেছিলেন মানজুর। এরপর পাকিস্তানের আরওꦐ বহু সিনেমায় রুনা লায়লা প্লে-ব্যাক করেছেন। যারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘হাম দোনো’, ‘রিশতা হ্যায় পেয়ার কা’, ‘কমান্ডার’, ‘আন্দালিব’, ‘নসীব আপনা আপনা’, ‘দিল অউর দুনিয়া’, ‘উমরাও জান আদা’, ‘আনমোল’, ‘নাদান’, ‘দিলরুবা’🔯 প্রভৃতি।
মুক্তিযুদ্ধের আগেই রুনা লায়লা প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত সিনেমা ‘স্বরলিপি’তে। এ সিনেমার ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। গানটি লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেছিলেন সুবল দাস। গানে লিপসিং🎐 করেছিলেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লে-ব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেন রুন൲া লায়লা।
এরপর বাংলাদেশের সিনেমার গানেও তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে তিনি একে একে ‘জীবন সাথী’, ‘টাকার খেলা’, ‘জিঘাংসা’, ‘আলো তুমি আলেয়া’, ‘লাভ ইন সিমলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘কাজল রেখা’, ‘রং বেরং’, ‘দি রেইন’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘সুন্দরী’, ‘দি ফাদার’, ‘কসাই’, ‘দেবদাস’, ‘এক্সসিডেন্🐟ট’, ‘চাঁদনী’, ‘দোলনা’, 🐈‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘অন্ধপ্রেম’, ‘দোলা’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’, ‘পাঙ্কু জামাই’, ‘দুই দুয়ারী’সহ আরও বহু সিনেমায় তিনি প্লে-ব্যাক করে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।
বাংলা ভাষায় তার বহু আধুনিক জনপ্রিয় গানও রয়েছে। যারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য হচ্ছে ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘পাখি খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে গেলে’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে’, ‘ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেছো প্রাণ’, ‘শেষ করোনা শুরুতে 🎃খ♔েলা’ ইত্যাদি।
রুনা লায়লা ‘দ্য রেইন’, ‘জাদুর বাঁশি’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’, ‘তুমি আসবে বলে’ সিনেমাতে প্লে-ব্যাকের ꦗজন্য সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।