বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার পর সিনেমা হল খুলেছি🗹ল ঠিকই, তবে দর্শক হলে যাচ্ছিল না। বড় বাজেটের সিনেমা ফ্লপ হচ্ছিল। বিপাকে পড়ে বলিউডের প্রথম সারির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসও। কারণ, তাদের সিনেমাগুলো ওই সময় লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, লগ্নি তুলতেও ব্যর্থ হচ্ছিল। এ কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আদিত্য চোপড়া। ওই পরিস্থিতি থেকে যশরাজ ফিল্মসকে রক্ষা করেন শাহরুখ খান। এই পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে আসে ‘পাঠান’। সিনেমাটি ব্যবসাসফল হয়। ঘুরে দাঁড়ায় যশরাজ ফিল্মস।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে আয়োজিত এফআইসিসিআই ফ্রেমস অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন যশরাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার স🎃্ত্রী অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। রানি অকপটে জানিয়েছেন, শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ হিট না হলে যশরাজ ফিল্মস বন্ধ হয়ে যেত। অভিনেত্রী বলেন, “মহামারির সময় আদিত্যকে সারা রাত জেগে নানা পরিকল্পনা করতে দেখেছি। ওর একটাই চেষ্টা ছিল, প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। সিনেমা মুক্তি পাচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু কেউ দেখছিল না। সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিল। এ রকম কঠিন সময়ে শাহরুখ অভিনীত ‘পাঠান’ মুক্তি পায়। এ সিনেমা দর্শককে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনে। পাঠানের জন্যই যশরাজ ফিল্মসের ভাগ্য ঘুরে যায়। আমরাও স্বস্তি ফিরে পাই। এ সিনেমা হিট হওয়াটা কতটা জরুরি ছিল, তা আমরা জানি।”
শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। করোনার ধাক্কায় তত 𒀰দিনে বলিউড প্রায় বিপর্যস্ত। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন, ব🅺লিউড বোধ হয় আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ, এর আগের বছরে মুক্তি পাওয়া প্রায় সব সিনেমা লগ্নি তুলতে ব্যর্থ হয়েছিল। কোনো বড় তারকার সিনেমাই দর্শকদের হলে আনতে পারছিল না। ওই সময় বলিউডের ত্রাণকর্তারূপে আবির্ভূত হন শাহরুখ। ২৫০ কোটি রুপিতে তৈরি তার পাঠান সিনেমাটি বক্স অফিসে এক হাজার কোটি রুপির বেশি আয় করে। স্বস্তি ফিরে আসে রানি মুখার্জির ঘরেও।