• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘নির্মাতা ও প্রযোজকদের সিনেমায় সেন্সরে ছাড় দেওয়া উচিত’


মেজবা রহমান
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩, ০২:৫৯ পিএম
‘নির্মাতা ও প্রযোজকদের সিনেমায় সেন্সরে ছাড় দেওয়া উচিত’
চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি সেন্সর ছাড়পত্র বাতিল হয় জয় চৌধুরী অভিনীত ‘আমার শেষ কথা’ শিরোনামের সিনেমার। নানা জটিলতা পার করে আবারও নতুন করে করতে হয় সিনেমার শুটিং।  তবে সিনেমার সেন্সর বাতিল হওয়া থেকে শুরু করে আবারও সিনেমার শুট🎉িং–এসব  নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলোচিত এই অভিনেতা। সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ‘‘দেশের নির্মাতা ও প্রযোজকেরা অনেক কষ্ট করে নিজেদের টাকা খরচ করে সিনেমা তৈরি করেন। সিনেমার সেন্সর ছাড়পত্রের ক্ষেত্র🥀ে তাদের অবশ্যই ছাড় দেওয়া উচিত, যাতে করে তাদের সিনেমাগুলোর খরচ কম লাগে।’’

আমার শেষ কথা সিনেমার শুটিংয়ে জয় চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে সিনেমার দৃশ্যধারণ প্রসঙ্গে চিত্রꦚনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, ‘‘গত ১ নভেম্বর থেকে গাজীপুরে ‘আমার শেষ কথা’ সিনেমাটির শুটিং নতুন করে আবার শুরু করেছিলাম। সিনেমাটিতে ভায়োলেন্স ছিল, সেইসঙ্গে একটু ইসলামপন্থিও। সেজন্য সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে যাওয়ার পর সমস্যা হয়। যেসব দৃশ্য নিয়ে সমস্যা, সেসব দৃশ্যের গল্প পরিবর্তন করে একেবারে নতুন করে শুটিং করা হয়েছে। আজ রবিবার (৫ নভেম্বর) নতুন এই শুটিং এর কাজ শেষ হয়েছে।’’

‘আমার শেষ কথা’ সিনেমায় জয় চৌধুরীর লুক

সিনেমাটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে অভিনেতা বলেন, ‘‘ঠিক কি কারণে সিনেমাটির সেন্সর আটকে দেওয়া হয় তা জানানো হয়নি। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, সিনেমাটি নারায়ণগঞ্জের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়। যেহেতু সত্য ঘটনার ওপরে গল্প, তাই নির্মাতা সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেটা হয়তো বা সেন্সর বোর্ড ভালোভাবে নেয়নি। এজন্য কাটিং মেরে দিয়েছে। সেগুলো সংশোধন করে ফেলে দি⭕য়ে আবার𒉰ও জমা দেওয়া হয়, তারপরও তাদের পছন্দ না হওয়ায় সিনেমাটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।’’

চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী

একই সিনেমার দুবার শুটিং এর অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘‘যদিও এটা নতুন অভিজ্ঞতা, তবে এসব কারণে সিনেমার খরচ অনেক বেড়ে যায়। আমাদের দেশে সিনেমার ট♋াকা উঠানোই কস্ট এখন, সেখানে একই সিনেমায় দুবার কাজ করতে গেলে তো খরচ আরও বেশি🅺 হবে , এটা স্বাভাবিক।’’

‘আমার শেষ কথা’ সিনেমায়  শুটিং দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

দেশের নির্মাতা ও প্রযোজকদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার দা✤বি জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘‘অনুদানের সিনেমাগুলোর বাজেট সাধারণত ৬৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপরেও সেসব সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। সিনেমার নামে নাটক তৈরি হয় অনেক সময়। সেগুলো ছাড় দিয়ে সেসব সিনেমার সেন্সর দেওয়া হয়। কিন্ত, যেসব প্রযোজকেরা নিজের টাকা খরচ করে সিনেমা নির্মাণ করেছেন ব্যক্তিগত ক্ষোভে অনেক সময় তাদের সিনেমার সেন্সর আটকে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, দেশের নির্মাতা ও প্রযোজকদেরকে আরও ছাড় দেওয়া উচিত। তাহলে তারাও সিনেমা তৈরি করতে আগ্রহ পাবেন।’’    

ঢালিউড অভিনেতা জয় চৌধুরী

‘আমার শেষ কথা’ সিনেমায় জয় চৌধুরী ছাড়াও আরও আছেন কাজী হায়াৎ, বড়দা মিঠু, রেবেকা, ববি, সুব্রত, রিনা খান, দুলারি, হাবিব খান, আবু সাইদ, টাইগার রব🐠ি প্রমুখ।  

Link copied!