ভারতীয় বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ক্যাꦏন্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে এই জীবনযুদ্ধের অবসান ঘটল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মারা গেছেন এই অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে। তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন গায়ক-অভিনেতা অঞ্জন দত্ত। বেশ কিছু সিনেমায় তিনি তার সহশিল্পী হꦜিসেবে কাজ করেছেন। এমনকি শ্রীলা ছিলেন মৃণাল সেনের মানসকন্যা। সামাজিক মাধ্যমে অঞ্জন লিখেছেন, ‘ভালো অভিনেতা খুঁজে আনার ব্যাপারে খ্যাপামির পর্যায়ে আ💦গ্রহ ছিল মৃণাল সেনের। তিনি শ্রীলাকে পরিচয় করিয়ে দেন দর্শকদের সঙ্গে। ভারতীয় পর্দায় ঝড় তুলেছিল শ্রীলা।’
জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরেই ডিম্বাশয় ক্যানসারে ভুগছিলেন শ্রীলা। সে কথা জানতেন অঞ্জন। যদিও অভিনেত্রী নিজে থেকে তাকে কিছু বলেননি। তিনি এই অসুস্থতার কথা শুনেছেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের কাছ থেকে🌳। তারা তিনজনই মৃণালের ছবিতে অভিনয় করেছেন। সে কথাও পোস্টে উল্লেখ করেছেন অঞ্জন।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা তিনজনই মৃণাল সেনের সংস্পর্শে এসেছি। তার সঙ্গে কাজ 🌸করেছি। ২০২৩ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পা🌄লান’ ছবিতেও শ্রীলা, মমতা ও আমি আবার একসঙ্গে কাজ করি। ওটাই আমাদের শেষ সিনেমা।’’
মরণব্যাধির সঙ্গে শ্রীলার এই লড়াই প্রসঙ্গে অঞ্জন𒐪 বলেন, ‘শ্রীলা কখনও আমাকে বলেনি। এই লড়াই করার জন্য আমি ওর সাহসের🧜 প্রশংসা করি। আমি শ্রীলাকে স্যালুট করি, ওর বিরল সাহসিকতার জন্য।’
পরিচালক অঞ্জনের সঙ্গেও কাজ করেছেন শ্রীলা। তার আকস্মিক মৃত্যুসংবাদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বললেন, ‘অভিনেত্রী শ্রীলার চোখ এবং সেই চোখে রাগ ফুটিয়ে তোলা—এই দুই ছিল তার সম্পদ। বেশ কিছু ছবিতে আমি সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছি শ্রীলাকে। আমার সৌভাগ্য, আমি𒊎 ওর পরিচালক ও বন্ধু হওয়ার সুযোগও পেয়েছি। ওর মতো বন্ধুকে সব সময় মনে পড়বে। আমরা মৃণাল সেনের সন্তানতুল্য তো বটে💖ই, একটি পরিবারের মতোই ছিলাম। কোনো রেষারেষি, প্রতিযোগিতা বা পরস্পরের প্রতি কোনো ক্ষোভ ছিল না।’
১৯৮০ সালে মৃণাল সেন নির্মিত ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন শ্🥂রীলা। বলিউড তারকা শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিলসহ একাধিক স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পীর সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে ‘এক দিন প্রতিদিন’, ‘আকলের সন্ধানে’, ‘খারিজ’, ‘নাগমতি’ ও ‘শঙ্কর মুদি’ তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।