ষাট থেকে নব্বই 𓆏দশক পর্যন্ত সময়কে বলা হয় চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ। এ সময়ে তৈরি হয়েছে অনেক নায়ক-নায়িকা। জহির রায়হান ও খান🍒 আতাউর রহমানসহ আরো অনেকে উপহার দিয়েছেন কালজয়ী সিনেমা। তারা এখনো অগ্রপথিক হয়ে আছেন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে।
ষাট থেকে নব্বইয়ের দশকে দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। সিনেমার গান, কথা, ডায়ালগ সবই ছিল মানুষের মুখে মুখে। মনে গেঁথে থাকতো অভিনয় ও সংলাপ। আশির দশকের অনেক জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯)। এরপর বীর পুরুষ, আম্মাজান, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, স্বামী কেন আসামি, ছুটির ঘন্টা, দীপু নম্বর টু, মাটির ঘরসহ আরো কিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলোও ছিল ব্যবসাসফল ও দর্শক নন্দিဣত।
২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সালের সময়কে চলচ্চিত্রের খারাপ সম𒈔য় বলে ধরা হয়। কারণ এ সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমার কাজ হয়নি। সে সময় থেকে কমে যায় সিনেমার নির্মাণ সংখ্যা।
২০১০ সালের পর থেকে আবারো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। এ সময় মনের মাঝে তুমি, মনপুরা (২০০৯) ছাড়াও অগ্নি (২০১৪), আয়নাবাজি (২০১৬), শিকারি (২০১৬), ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭) ও নবাব (২০১৭) যথেষ্ট ব্যবসা করেছে। এছাড়া ডুব (২০১৭), পোড়ামন-২ (২০১৮), দেবী (২০১৮) স্বপ্নজালের (২০১৮) মতো ভালো কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছে ফাগুন হাওয়ায়, যদি একদিন, আবার বসন্ত, পাসওয়ার্ড, সাপলুডু, ইতি তোমারই ঢাকা, ন ডরাই, ইন্দুবালা, গহীনের গান, মায়া- দ্য লস্ট মাদার ইত্যাদি। নতুন করে অনেক সিনেমা মুক্তি পেল൩েও বলা যায় না এখন চলচ্চিত্রের সুদিন। তবে এরই মাঝে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ বাজিমাত করেছে। এর দেখাদেখি বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের সিনেমা শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাণ শুরু হলেও ভালো সিনেমা নির্মাণ সংখ্যা খুবই কম।
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা ও উত্তরনের উপার নিয়ে মুখ খুলেছেন কিংবদন্তি অভি🍸নেতা আলমগীর🦂।
সম্প্রতি একুশে পদকে ভূষিত জনপ্রিয় এই নায়ক। চলচ🌳্চিত্রেরꦦ উন্নয়নে গণমাধ্যমের কাজে সম্প্রতি বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি।
আলমগীর বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করতে হলে আরেকটি স্বর্ণযুগ দরকার। আর তা হলো ডিজিটাল স্বর্ণযুগ, মানে স্মার্ট স্বর্ণযুগ। তাহলেই দর্শক সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে আসবে। তার কথায়, অনেকে বলেন চলচ্চিত্রকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু এটি ঠিক কথা নয়, কারণ ঘুরে দাঁড়ালে তো পেছনের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট অর্থাৎ সাদা-কালো যুগে চলে যাব আমরা। আমি এতে বিশ্বাসী নই। আমি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও আধুনিক আগামীতে এগিয়ে যেতে বিশ্বাসী। তাই এর জন্য এখন আমাদের যেটা দরকার সেটা হলো নতুন একট𒈔ি স্বর্ণযুগ তৈরি করা, যা আমরা ফেলে এসেছি। এ স্বর্ণযুগের নাম হবে ডিজিটাল স্বর্ণযুগ, মানে স্মার্ট স্বর্ণযুগ। এটি করতে পারলেই দর্শকদের আবারও সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নায়ক আলমগীরের কথায়, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মেকারদের অনেক আগেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল। গত ১৫ বা ২০ বছর আগের যারা মেকার তারা যদি এগিয়ে আসতেন তাহলে চলচ্চিত্🦹র সমৃদ্ধ থাকত। কারণ আগে যে সময়টা ছিল তখন কেউ ৫ বছর, পরবর্তীতে কেউ আবার ক্ষমতায় এসে আগের কাজ আটকে দিত। এ কারণে তখন সেন্সরে সমস্যা হতো। দীর্ঘদিন সেই সমস্যা আর নেই। এখন তো ভালো ছবি হতে পারে। এ বিౠষয়টি নিয়ে আগের মেকারদের এখন ভাবতে হবে। ভালো ছবি নির্মাণ করতে হবে। তাহলেই চলচ্চিত্রের এ স্থবির অবস্থা দূর হবে।
তিনি বলেন, ভাইরাল হয়ে কখনো স্টার হওয়া যায় না। মানে ভাইরাল হয়ে স্টারের জন্♍ম হয় না। ভাইরাল হয়ে ১ মাস ২ মাস বা সর্বোচ্চ ১ বছর কোনোভাবে থাকা যাবে, তারপর তো হারিয়ে যেতেই হবে। ভাইরাল হয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী হওয়া যায় না। ভাইরাল যꦑারা হয় তারা কখনো টিকে থাকতে পারবে না। তবে চলচ্চিত্র নিয়ে এবং অভিনয় করে যদি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া যায় তাহলে চিরকাল সেখানে টিকে থাকা যাবে। আসলে কারও প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি খুব পজিটিভ মাইন্ডের একজন মানুষ। আমি সবসময় সবকিছু পজিটিভলি নেই।
𒅌আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অশ্লীল মানেই অশ্লীল, স💎েটি সিনেমা হলের বড় পর্দায় হোক কিংবা ওটিটি। অশ্লীল কখনো শ্লীল হতে পারে না। অশ্লীলতা দিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না। কারণ অশ্লীলতাকে দর্শক সব সময়ই দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়।
অভিনেতা আলমগীর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলেন, চলচ্চিত্র আমার হৃদয়ে ধারণ করা আছে। এটা আমরণ থাকবে। এটাকে মিস করার আমার কিছু নেই। আমি🅺 চলচ্চিত্র নিয়ে বেঁচে আছি, আমি চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবি, চলচ্চিত্র নিয়ে বাঁচি, চলচ্চিত্র আমার সবকিছু। আমার প্রতিটি স্টཧেপ চলচ্চিত্র। আমি নিজেকে মেনটেইন করে চলি চলচ্চিত্রের জন্য।
সর্বশেষ নায়ক আলমগীর দর্শকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা সিনেমা হলে আসুন, বাংলাদেশের বাংলা ছবি দেখুন, ইনশা আল্লাহ অদূর ভবিষ্যতে আমরা ডিজিটাল স্মার্ট স্বর্ণযুগ গড়ে তুলব। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের মধ্যে আছে এবং এ উৎসাহ আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাচ্ছি।