ইমরান তার ছেলে আয়ান হাশমির ক্য🎀ানসার চিকিৎসার দশ বছর পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হৃদয়গ্রাহী নোট লিখেছেন। ছেলের বয়স এখন ১৩ বছর। ইমরান হাশমি তার ছেলে আয়ান হাশমির সঙ্গে একটি ছবি এবং একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ছবিতে আয়ান তখন খুব ছোট। ভিডিয়োতে ইমরান হাশমির ছেলেকে বইটির শিরোনাম পড়তে🌸 দেখা যায়। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, `কিস অফ লাইফ: কীভাবে একজন সুপারহিরো এবং আমার ছেলে ক্যানসারকে পরাজিত করেছে।`
এই পোস্টটি শেয়ার করতে গিয়ে ইমরান ক্যাপশনে লিখেছেন, `আয়ানের রোগ নির্ণয়ের দশ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। কিন্তুཧ, আমাদের বিশ্বাস এবং ভরসা দিয়ে এটি অতিক্রম করেছি। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তারা এটি কাটিয়ে উঠেছে সবদিক থেকে। এ꧑বং মন শক্ত করে নিয়েছে। ভালোবাসা এবং প্রার্থনা নিয়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
ছোট্ট ছেলেটা সমানে লড়াই করে 🦩চলেছে কঠিন রোগের সঙ্গে। তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হঠাৎই এক ঝড় ধেয়ে এসেছিল। যা নিয়ে রীতিমতো যন্ত্রণায় ভুগেছেন অভিনেতা। চোখের সামনে ছোট্ট ছেলেটাকে এভাবে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখেছেন তিনি। তবে মনের জোরে লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাদের পরিশ্রমে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে ছেলেটি আজ অনেক▨টাই সুস্থ
বলিউডের সিরিয়াল কিসার হিসেবে বিখ্যাত অভিনেতা ইমরান হাশমি। ইমরান তার মেধা ও পরিশ্রমের জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন। যে ইমরান একসময় ক্যামেরার দিকে তাকাতেই ভয় পেতেন, আজ তিনিই একজন সফল অভিনেতাদের একজন। ইমরান শুধু বড় পর্দায় অনেক নামই অর্জন করেননি। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। সর্বোপরি, তিনি তার ছেলেকে লড়াই করতে🌠 দেখেছিলেন, যে তাঁর জীবনের চেয়েও প্রিয়। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন তার ছেলে। সেই সময়টা ইমরানের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর ২০০৬-এ পারভিন সাহনিকে বিয়ে করার চার বছর পর অর্থাৎ ২০১০ সালে, ইমরান হাশমি একজন সন্তানের জন্ম দেন। ভালোবেসে তার নাম রাখেন আয়ান। একসঙ্গে তাদের জীবন বেশ ভালোই চলছিল🍸। কিন্তু, ইমরানের ছোট্ট ছেলে আয়ানের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া যেন তাদের জীবনের গতি থামিয়ে দেয়। ২০১৪ সালে ছেলের ক্যানসারের কথা শুনে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় ইমরান হাশমির। মাত্র চার বছর বয়সে ক্যানসারের মতো বিপদজ্জনক রোগে আক্রান্ত হন আয়ান।
ইমরান তার `দ্য কিস অফ ল🙈াইফ: হাউ এ সুপারহিরো অ্যান্ড মাই সন হেরেড ক্যানসার` বইয়ে এ কথা উল্লেখ করেছেন। ইমরান ও তার স্ত্রী ছেলের জন্য এই যুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং জিতেছেন। দীর্ঘ ৫ বছর চিকিৎসার পর স💞ুস্থ হয়ে ওঠেন আয়ান। এই পুরো যুদ্ধে ইমরান তার ছেলের কাছে সাহসী যোদ্ধা হয়ে উঠেছিলেন। ইমরানের কাছে তার ছেলে একজন সুপারহিরোর চেয়ে কম নয়।