জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও তাদের কিছু দোসর কিন্তু এই দেশেই রয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। শিল্পীসমাজও এর বাইরে না। এখানেও অনেক দোসর আছেন নানানভাবে সুযোগ সুবিধাগুলো নিয়েছেন তাদের জায়গা শক্ত করেছ🔥েন। আমাদের জন্য কিছু করেননি।’
‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পী সমাজ’র ব্যানারে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত হয়েছিলেন শিল্পীদের একাংশ। ‘কথা বলতে চা꧅ই, কথা শুনতে 🌠চাই’ শিরোনামে ওই জমায়েতে অভিনয়শিল্পীরা সভায় শিল্পীরা সংস্কার নিয়ে নানা মতামত তুলে ধরতে গিয়ে বাঁধন এ কথা বলেন।’
এ সময় বাঁধন আরো বলেন, ‘কিছু তরুণ এক হয়েছে যারা এই মিডিয়াকে সুন্দর করে সাজাতে চায়। যারা এꦏখন জায়গা ধরে রেখেছেন তারা তরুণদের জন্য জায়গাটা ছেড়ে দেন। এখানে অনেক সংস্কার প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাসার, মনোজ প্রামাণিক, সাবেরী আলম, সোহেল মন্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাাফꦉিজুর নূর ইমরান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, সমাপ্তি মাসুক, এলিনা শাম্মি, নির্মাতা ইমেল হকসহ অনেকেই।
টিভিমাধ্যমের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। সাম্প্রতিক দেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ🌊ানের সূত্র ধরে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন শিল্পী ও নেতৃস্থা🐬নীয়রা। এরপর সংগঠনটির সংস্কার চেয়ে নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন সংস্কারকামী শিল্পীরা। কিন্তু নেতারা সেটা করেননি। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করার কথা বলেন শিল্পীরা। সেটাও হয়নি।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর নিকেতনের ‘গ্রাউন্ড জিরো’তে একটি জরুরি বৈঠকে অভিনয়শিল্পী সংঘের সংস্কারের দাবি তোলেন এই𒅌 শিল্পীরা। সেখানে পারস্পরিক আলোচনা ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেখানে অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিকে দুঃখ প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।