• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সিনেমা হলে বুধবার থেকে চালু হচ্ছে ই-টিকিটিং


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম
সিনেমা হলে বুধবার থেকে চালু হচ্ছে ই-টিকিটিং

ঢাকাই সিনেমার কোনো বক্স অফিস নেই। তাই দেখা যায় ঢাকাই কোনো সিনেমা মুক্তির পরের সব হিসাব লুকানো থাকে কোনো এক ধোঁয়ার কুণ্ডুলির মধ্যে। এই চিত্র বদলাতে আলোচনায় উঠে এসেছে ই-টিকিটিং 𝔍ব্যবস্থার। সিনেমার মানুষদের অಞনেকেই ভরসা রাখতে চাইছেন ই-টিকিটিংয়ের ওপর। সিনেমার ভাগ্য ফেরাতে এখন ই-টিকিটিং প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন অনেক প্রযোজক ও পরিচালক নেতারাও। সেই লক্ষ্যে বুধবার (১০ মে) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমা হলগুলোতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাকশন কাꦅট এন্টারটেইনমেন্টের💛 স্বত্বাধিকারী ও চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন জানান, বক্স অফিস কার্যকরের জন্য ৩২টি সিনেমা হলে সার্ভার ও ই-টিকেটিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) থেকে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

এর আগে সম্প্রতি ‘দাগ হৃদয়ে’ সিনেমার প্রযোজক কামাল আহমেদ বলছিলেন তার সিনেমায় ১ কোটি ২০ লাখ  টাকা খরচ করে বানানো সিনেমা থেকে পুরো ১ কোটি টাকাই লস হয়েছে। ৪০ হলে সিনেমা মুক্তি দিয়ে ঠিকমতো টা☂কা বুঝে পাননি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে এতটা মন্দ অবস্থায় পড়তে হতো না তাকে।

এ বিষয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, “আমরা সিনেমা রিলিজের সময় হলে প্রতিনিধি পাঠাই। কোনো কোনো সময় শতাধিক প্রতিনিধি নিযুক্ত করা হয়। এতোগুলো লোকের মধ্যে সবাই তো আর ভালো হয় না, অসাধুও থাকে। তারা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের সঠিক সেলের হিসাব দেয় না। দেখা যাচ্ছে, এক লাখ টাকা আয় হয়েছে বলছে ৬০ হাজার। ই-টিকিটিং হলে অনেক ভালো হবে। এতগুলো প্রতিনিধি রাখার প্রয়োজন হবে না। সব দিক থেকেই প্রযোဣজক লাভবান হবেন।”

খসরু আরও 🔜বলেন, “২৭ জুলাই প্রযোজক সমিতির নির্বাচন। আমরা জয়ী হলে তিনটি কাজ করবো। বাংলাদেশে সরকারিভাবে ৫০০ সিনেপ্লেক্সের প্রজেক্টের কাজ বেগবান করতে সচেষ্ট হবো। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয় ৬৪টি জেলায় ৬৮টি তথ্যকেন্দ্র করবে। ৬৮ তথ্যকেন্দ্রের সঙ্গে ৬৮ সিনেপ্লেক্স যোগ করা হয়েছে। ৪৪৪টি উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র হবে সেই বিনোদন কেন্দ্রে একটি করে সিনেপ্লেক্স হবে। সবগুলোতেই ই-টিকিটিং যেন চালু করা হয় সেই ব্যবস𓆉্থা করবো।”

রꩵাজধানীর মধুমিতা হলের মালিক ও প্রযোজক নেতা ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “ই-টিকিটিং তো অবশ্যই ভালো। এটা মডার্ন কনসেপ্ট। তবে এর মাধ্যমে চুরি কতোটা বন্ধ করা যাবে আমি জানি না। যে চোর সে যে কোনো মাধ্যমেই চুরি করবে। ই-টিকেটিং হলে সিনেমা হলের মালিকদের কিছু খরচ বাড়বে। কারণ এটা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। দক্ষ লোকও প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে কিন্তু লাভও আছে। সেটা হচ্ছে টিকিট প্রিন্ট করার ঝামেলা থাকবে না🅘 কোনো। আমার মনে হয় ই-টিকিটিং চালু হওয়াই জরুরি। প্রযুক্তির এই সময়ে তো এটা দরকারও। তাছাড়া কোন সিনেমার কী অবস্থান সেটাও জানা যাবে কোনো রকম মিথ্যাচার ছাড়াই।”

Link copied!