ঢাকাই সিনেমার কোনো বক্স অফিস নেই। তাই দেখা যায় ঢাকাই কোনো সিনেমা মুক্তির পরের সব হিসাব লুকানো থাকে কোনো এক ধোঁয়ার কুণ্ডুলির মধ্যে। এই চিত্র বদলাতে আলোচনায় উঠেℱ এসেছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থার। সিনেমার মানুষদের অনেকেই ভরসা রাখতে চাইছেন ই-টিকিটিংয়ের ওপর। সিনেমার ভাগ্য ফেরাতে এখন ই-টিকিটিং প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন অনেক প্রযোজক ও পরিচা⛦লক নেতারাও। সেই লক্ষ্যে বুধবার (১০ মে) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমা হলগুলোতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের স্বত্বাধিকারী ও চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন জানান, বক্স অফিস কার্যকরের জন্য ৩২টি সিনেমা হলে সার্ভার ও ই-টিকেটিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) থেকে ই-টিকেটিং ব্♊যবস্থা কার্যকর হবে।
এর আগে সম্প্রতি ‘দা⭕গ হৃদয়ে’ সিনেমার প্রযোজক কামাল আহমেদ বলছিলেন তার সিনেমায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করে বানানো সিনেমা থেকে পুরো ১ কোটি টাকাই লস হয়েছে। ৪০ হ💦লে সিনেমা মুক্তি দিয়ে ঠিকমতো টাকা বুঝে পাননি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে এতটা মন্দ অবস্থায় পড়তে হতো না তাকে।
এ বিষয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, “আমরা সিনেমা রিলিজের সময় হলে প্রতিনিধি পাঠাই। কোনো কোনো সময় শতাধিক প্রতিনিধি নিযুক্ত করা হয়। এতোগুলো লোকের মধ্যে সবাই তো আর ভালো হয় না, অসাধুও থাকে। তারা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের সঠিক সেলের হিসাব দেয় না। দে﷽খা যাচ্ছে, এক লাখ টাকা আয় হয়েছে বলছে ৬০ হাজার। ই-টিকিটিং হলে অনেক ভালো হবে। এতগুলো প্রতিনিধি রাখার প্রয়োজন হবে না। সব 🏅দিক থেকেই প্রযোজক লাভবান হবেন।”
খসরু আরও বলেন, “২৭ জুলাই প্রযোজক সমিতির নির্বাচন। আমরা জয়ী হলে তিনটি কাজ করবো। বাংলাদেশে সরকারিভাবে ৫০০ সিনেপ্লেক্সের প্রজেক্টের কাজ বেগবান করতে সচেষ্ট হবো। এছাড়া ত🐼থ্য মন্ত্রণালয় ৬৪টি জেলায় ৬৮টি তথ্যকেন্দ্র করবে। ৬৮ তথ্যকেন্দ্রের সঙ্গে ৬৮ সিনেপ্লেক্স যোগ করা হয়েছে। ৪৪৪টি উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র হবে সেই বিনোদন কেন্দ্রে একটি করে সিনেপ্লেক্স হবে। সবগুলোতেই ই-টিকিটিং যেন চালু করা হয় সেই ব্যবস্থা করবো।”
রাজধানীর মধুমিতা হলের মালিক ও প্রযোজক নেতা ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “ই-টিকিটিং তো অবশ্যই ভালো। এটা মডার্ন কনসেপ্ট। তবে এর মাধ্যমে চুরি কতোটা বন্ধ করা যাবে আমি জানি 𝔉না। যে চোর সে যে কোনো মাধ্যমেই চুরি করবে। ই-টিকেটিং হলে সিনেমা হলের মালিকদের কিছু খরচ বাড়বে। কারণ🉐 এটা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। দক্ষ লোকও প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে কিন্তু লাভও আছে। সেটা হচ্ছে টিকিট প্রিন্ট করার ঝামেলা থাকবে না কোনো। আমার মনে হয় ই-টিকিটিং চালু হওয়াই জরুরি। প্রযুক্তির এই সময়ে তো এটা দরকারও। তাছাড়া কোন সিনেমার কী অবস্থান সেটাও জানা যাবে কোনো রকম মিথ্যাচার ছাড়াই।”