কলকাতার জনপ্রিয় তারকা দীপক অধিকারি দেব। দুই বাংলাতেই যার জনপ্রিয়তা প্রবল। তবে রাজনীতির মাঠেও সরব দেব। রাজনীতিতে নেমে প্রথমবারেই লোকসভার সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েছেন ১০ বছর আগে। সেই জয়রথ থামল না, টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হলেন তিনি।
এর আগে ২০১৪ সিপিএম প্রার্থী সন্তোষ রানাকে বড়সড় ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূল সাংসদ দেব। সেবার বিজেপি খুবই কম ভোট পেয়েছিল।২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। আর এবার সেই দেবের বিপরীতেই এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁর টলিপাড়ার বহুদিনের সহকর্মী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে হিরণের খুব বেশি লাভ হলো না। হারতেই হলো দেবের কাছে।
এ বারের ভোটে প্রার্থী হতেই ‘নারাজ’ ছিলেন দেব। নিজেই প্রকাশ্যে সে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই তিনি মত বদলান। শুধু তা-ই নয়, ভোটপ্রচারের শুরু থেকেই স্বভাবসিদ্ধ গণ্ডির বাইরে গিয়ে হাঁটা শুরু করেছিলেন দেব। কোনও সময় অভিজ্ঞ নেতার মতো দলীয় কর্মী, নেতৃত্বের সঙ্গে বৈꦍঠক করতে দেখা গিয়েছে, কখনও আবার কোন্দল থামিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে পথ চলার বার্তাও দিয়েছেন। যে কারণে এবারও জয় পেয়েছেন দেব।
এদিকে প্রথমবার রাজনীꩲতির মাঠে নেমেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। প্রার্থী তালিকায় অন্যতম চমক ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির ময়দানে নতুন হলেও প্রচারে এতটুকু ছাড়েননি তিনি।
অবশেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে বিজেপির পক্ষ থেকে হুগলি আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তবে তাকে রচনা ৬৪ হাজার ৯৭২ ভোটে তিনি পরাজিত করেন।
৪ জুন ভোট গণনার 🐬সময় প্রথমে অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও পরে সেই গ্যাপ যে কেবল রচনা মেকআপ করেন সেটাই নয়, ꧑একই সঙ্গে তিনি বিপুল ভোটে এগিয়ে যান।
এদিন সকালে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার আগে রচনা জানিয়েছিলেন তিনি জয় নিয়ে আত্মবিশ্🐻বাসী। একই সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তিনি শুভেচ্ছা জানাতেও ভꦐোলেন নি।