অন্তর্বর্তী সরকার এ পর্যন্ত অনেকগুলো উদ্যোগ, পদায়ন, পদত্যাগ, মুক্তি, জেল, গ্রেফতার ও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সবগুলোর ট্যাগলাইন মূলত ‘নত൲ুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়। এরমধ্যে কিছু প্রশংসিত হয়েছে, কিছুতে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই সরকার এতোটা তোপের মুখে আর পড়েনি, যেমনটা পড়েছে রোববার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) সেন্সর বোর্ড গঠন করে। কারণ এ নতুন কমিটিতে থাকা বেশির ভাগ নামই পছন্দ হয়নি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে নির্মাতা আশফাক নিপুনকে নিয়ে।
রোববার দুটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। যেখানে নির্মাতা আশফাক নিপুণ পাওয়া গেছে দুটি বোর্ডের সদস্য হিসেবে, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। বেশিরভাগের প্রশ্ন, দেশে যোগ্য লোকের এতোই সংকট যে, নিপুণকে একাধিক কমিটিতে রাখতে বাধ্য হলো সরকার।
সঙ্গত কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে সেন্সর বোর্ডের নবগঠি꧙ত কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন নির্মাতা আশফাক ন꧂িপুন।
রোব꧂বার মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে নিপুন লেখেন, ‘সেন্সর বোর্ড আগামী কয়েক মাসের ভেতর সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে রূপান্তরিত হবে বলে আমাকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আমি আজীবন চলচ্চিত্রে বা শিল্পে সেন্সর বোর্ড প্রথার বিরুদ্ধে। আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি মন্ত্রণালয় আমাকে বোর্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু একটা মিস কমিউনিকেশন হয়ে গেছে। আমি এই বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্য পদ গ্রহণ করিনি। বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এই ব্যাপারে আমার কথ𝔉া হয়ে গেছে।’
সেন্সর বোর্ড বাতিলের পক্ষে নিজের অবস্থান জানিয়ে নির্মাতা লেখেন, ‘সেন্সর বোর্ডের বাতিলের পক্ষে আমার অবস্থান সর্বদা চলমান থাকবে। নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা যারা আমার কলিগ, তাদের সেন্সর বোর্ড বাতিল করে দ্রুত সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড বা গ্রেডিং সিস্টেম চালুর পক্ষে আমার শুভকামনা রইল।’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নবগঠিত বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে🙈র ১৫ সদস্যের বোর্ডেও নাম আছে আশফাক নিপুনের। তবে সেটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
১৫ সদস্যের সেন্সর বোর্ডে আশফাক নিপুন ছাড়াও আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, ড. জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, নির্মাতা ও প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এছাജড়াও রয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। চেয়ারম্যান করা হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে, আর সদস্যসচিব হিসেবে আছে✨ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।
দীর্ঘ༺দিন ধরে সেন্সর–প্রথা বাতিলের দাবি ছিল নির্মাতা আশফাক নিপুনের। তিনিসহ আরও অনেকে সেন্সর বোর্ডের বদলে সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনে সোচ্চার ছিলেন।