সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষরা দেবী কালীকে পুজো করে থাকেন। সেই দেবী কালীর পোষ্টারকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যে পোস্টারে দেখা যায় কালী রূপে সজ্ไজিত একজন ধূমপান করছেন। এই ছবিটি সামনে আসতেই ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক লীনা মনিমেকালাইের বিরুদ্ধে।
‘কালী’র পোস্টার বিতর্কে জড়িয়ে ভারত𒉰ে তীব্র সমলোচনা এবং কটূক্তির শিকার হওয়ার পাশাপাশি বিদেশে প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছেও তীব্র সমালোচনার শিকার হন লীনা। তার নামে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে দেশের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং ম🃏ধ্যপ্রদেশে দায়ের হয়েছে এফআইআর। আইনি নোটিস পেয়ে টুইটার থেকেও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে তার ছবির পোস্টার নিয়ে তার করা কয়েকটি টুইট। তবে সেই সমালোচনা আর আক্রমণের পরও অকুতোভয় পরিচালক আত্মপক্ষ সমর্থনে এক টুইট করেছেন।
টুইটে লীনা অবশ্য বেশি কিছু বলেননি। শুধু একটি ছবি পোস্ট করেছেন আর ক্যাপশনে লিখেছেন “অন্য কোথাও।” পরে সেই ছবিটি আবার রিটুইট কর♔েন। সেখানে তিনি লেখেন, “বিজেপির বেতনভুক ট্রোল (সমালোচনাকারী) বাহিনীর কোনও ধারণাই নেই গ্রামীণ ভারতের যাত্রা শিল্পী বা পথনাটিকা শিল্পীরা কী ভাবে তাদের অনুষ্ঠানের পর অবসর বিনোদন করেন। এই ছবিটি আমার ফিল্মের নয়। বরং গ্রামীণ ভারতের একটি সাধারণ রাস্তার ছবি। এ-ও এক গ্রামীণ সংস্কৃতি, যাকে নিজেদের হিংসাত্মক🎃 মনোভাব দিয়ে ধ্বংস করে দিতে চায় সঙ্ঘ পরিবার। হিন্দুত্ব কখনও ভারত হতে পারে না।”
টুইটে যে ছবিটি লীনা পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ভারতেরই কোনও একটি গ্রামের রাস্তায় ভারতীয় দেবদেবী শিব-দুর্গার বেশধারী দুই বহুরূপী ꧒তাদের কাজের ফাঁকে ধূমপান করছেন।
মাদুরাইয়ের বাসিন্দা চিত্র পরিচালক লীনা 🍸বর্তমানে কানাডার বাসিন্দা। সম্প্রতিই কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তার তথ্যচিত্র ‘কালী’ প্রদর্শনের আগে সেই ছব🌳ির পোস্টার নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যা নিয়ে লীনা নিজের টুইটারে জানিয়েছেন, যে ভাবে আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।