জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছেই না। এবার এক নতুন অসংগতি ধরা পড়ল।
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের আলোচিত ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। ইতোমধ্যে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে আলোচিত ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শরীফার গল্পের তুমুল বিতর্কের পর এবার সামনে এলো বিব্রতকর উপাদানের নতুন প্রসঙ্গ, যা নিয়ে কথা বলতেও বিব্রত হচ্ছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক সমাজ। এবার পাঠ্য বইয়ে পাওয়া গেছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ‘অন্তবাস’ বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানা।
শরীফার গল্প নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় হয়েছিল সম্প্রতি। তুমুল সমালোচনা ও বিতর্ক উঠেছিল এই গল্পের উপস্থাপনা নিয়ে। সেটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত অবশেষে হলো। কিন্তু এরই মধ্যে উঠে এলো পাঠ্যবইয়ের এই ‘অন্তর্বাস’ প্রসঙ্গ।
জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যসূচির নবম শ্রেণির ‘জীবন ও জীবিকা’ বইয়ে একটি কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে। যেটা স্ক্যান করলে ‘ট্রাক্স’ নামক একটি ‘অন্তর্বাস’ বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। যা পর্তুগালের একটি পোশাক প্রতিষ্ঠান। যারা অনলাইনে নারীদের অন্তর্বাস বিক্রি করছে। অর্থাৎ অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটের কিউআর কোড বসানো হয়েছে বইটিতে।
বইয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করা নিয়ে থাকা একটি অধ্যায়ে এই কোড𒈔 ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি স্ক্যান করলেই চলে আসছে অন্তর্বাস বিক্রির ওই ওয়েবসাইট।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাঠ্যবইয়ে এমন কিউআর কোড ব্যবহারে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন মো. মুরশীদ আকতার, মোসাম্মৎ খাদিজা ইয়াসমিন, হাসান তারেক খাঁন, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, মো. সিফাতুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁঞা। বইটির শিল্পনির্দেশনা মঞ্জুর আহমদ, চিত্রণ সুবীর মন্ডল, প্রচ্ছদ পরিকল্পনা মঞ্জুর আহমদ, প্রচ্ছদ প্রথমেশ দাশ পুলক, গ্রাফিক্স নূর-ই-ইলাহী ও কে এম ইউসুফ আলী।
বইটির ৩৮ নম্বর পেজে ‘ধাপ-৬: ব্যবসার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং বা বিপণন পরিকল্পনা’ নামক অধ্যায়ে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রার জন্য কীভাবে ব্যবসায় শুরু করতে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই পেজে ‘চিত্র ২.১: বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপনের নমুনা’র চিত্র তুলে ধরে সেখানে নিত্যদিন স্টোরের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সেখানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ভাইবার, লিংকডইন এবং পিনটারেস্টের লোগো দেওয়া হয়েছে। এই লোগো এবং নিত্যদিন স্টোরের মাঝখানে একটি কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে যেটা স্ক্যান করলে আলোচিত ওই ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। যেখানে এডাল্ট নারী মডেলরা অন্তর্বাস পরে ছবি তুলেছেন যা বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে।
অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলছেন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বইয়ে এ ধরনের এডাল্ট ছবিসহ অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট কেন দেওয়া হয়েছে? এই অন্তর্ব🧔াস দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষ🌸ার্থীরা কী করবে?