শিক্ষক-করꦡ্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চার দিনে বিভিন্ন বিভাগের ১৪টি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার না করায় সোমবার (১ জুলাই) থেক🎐ে বেরোবিতে পূর্বঘোষিত সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়🥀 বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে বন্ধ হয়ে পরে শিক্ষার্থীদের সব অ্যাকাডেমিক ক্লাস ও পরীক্ষা।
শিক্ষার্থীদের কাছে এবং পরীক্ষার রু♋টিন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি চার দিনে (১-৪ জুলাই) বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১৩ ব্যাচ, অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ১৩ত🦋ম ব্যাচ, গণিতের ১৩তম ব্যাচের ২টি করে পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে এবং গণিত বিভাগের ১২ ও ১৪ ব্যাচ, অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ১৪তম ব্যাচ, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ১৪তম ব্যাচ, মার্কেটিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচ, ফিনান্স বিভগের ১৩ ও ১৪তম ব্যাচের একটি করে মোট ১৪টি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মিড পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ল্যাব ও ব্যবহারিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে এবং সকল প্রকার যাতায়াতের ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ এর অবসান হবে তা♔ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বেরোবি✤র রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিপন আহমে♎দ বলেন, “পরীক্ষা স্থগিত আমাদের জন্য আসলেই ভোগান্তি কারণ। আমরা রংপুরে আছি। অনেক খরচ হচ্ছে। ক্লাস নেই, পরীক্ষা নেই। কবে নাগাদ সমাধান পাব, বলতে পারছি না। আমি চাই, যারা নীতিনির্ধারক আছেন, তারা যেন দ্রুত সমাধান করে। আমরা যেন ক্লাসে ফিরে যেতে পারি, পরীক্ষা দিতে পারি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার বলেন, “আমরা আমাদেꦯর পরীক্ষা দিতে চাই। এই রকম পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেলে আমরা সেশনজটে পড়ব𓆏। তখন আমাদের কে দেখবে?”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, “আমরা ঈদের ছুটির পর বাড়ি থেকে এসেছি পরীক্ষার জন্য। এখন পরীক্ไষা বন্ধ। তাই আবার বাড়ি চলে যাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের 🃏ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ প্রফেসর ড. নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, “মোট কয়টি পরীক্ষা ⛦স্থগিত হয়েছে, সঠিক বলতে পারছি না। রোববার (৭ জুলাই) অফিসে এলে বলতে পারব। কিন্তু জুলাই মাসে প্রায় সব বিভাগে পরীক্ষা হওয়ার কথা।”