• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঝড়ে টিনের চাল উড়ে গেছে, আকাশের নিচে পাঠদান


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম
ঝড়ে টিনের চাল উড়ে গেছে, আকাশের নিচে পাঠদান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ℱগোমস্তাপুর উপজেলায় গত সোমবার মধ্যরাতে বয়ে চলা কালবৈশাখী ঝড়ে বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেলেও খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে এই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাস✨িন্দা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ জানান, সোমবার (১৬ মে) মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির টিনের ছাদ উড়ে যায়। তবে সিলেবাস শেষ করে পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে খোলা আকশের নিচে বসে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 𝓀শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, বর্ষার সময়ে যেকোনো সময় বৃষ্টি আসতে পারে। এই শঙ্কা নিয়েই তারা ক্লাস করছে।

বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যাল𒆙য়ের শিক্ষার্থী আরাফাত আলী বলেন, “এভাবে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর। মাথায় রোদের তাপ নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। কখন আবার বৃষ্টি চলে আসে সেꦦই ভয়ও কাজ করছে। এতে আমাদের বই ভিজে যেতে পারে। এটা তাড়াতাড়ি ঠিক না করলে আমরা ক্লাসই করতে পারব না।”

অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় গড়ে উঠা বিদ্যালয়ে এই এলাকার ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। কিন্তু ঝড়ে ঘর ভেঙে গেছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই অস্বচ্ছল বলে অল্প সময়ের ম💃ধ্যে বিদ্যালয় মেরামতের টাকাও জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই যারা সমাজে স্বচ্ছল রয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”

এ বিষয়ে বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প💜্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ে ♏শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের ছাদ উড়ে গেছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতেই তাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করিয়েছি। তবে রোদে বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাস করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ঝড়ে বিদ্যালয়ের টি♏নের ছাদ উড়ে যাওয়ার পরপরই আমরা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ঝড়ে টিন উড়ে যাওয়া ঘরগুলো মেরামতের দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

বুধবার (১৮ মে) গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী খাতুন জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে একটি আꦚবেদন দিয়েছেন। খুব শিগগিরই এꦓ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাঠদান করতে পারবে।

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন বলেন, “বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে▨ পেরেছি। দ্রুত শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ফেরাতে ও ভোগান্তি কমাতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কক্ষ মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

১৯৯♓৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৫১০ জন শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। 

Link copied!